কাগজ প্রতিবেদক : ডায়াবেটিস নীরব মহামারি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ডায়াবেটিক রোগীদের কল্যাণে সরকার ডায়াবেটিস হাসপাতাল নির্মাণে সহযোগিতা করছে। ডায়াবেটিস যেন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুপুরে শাহবাগের বারডেম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান। বক্তব্য রাখেন বাডাসের মহাসচিব মো. সাইফ উদ্দিন ও বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমকেআই কাইয়ুম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আদর্শ ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে অভিনন্দনপত্র ও ক্রেস্ট দেয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেয়ে না রাখাটা বেশি ব্যয়বহুল। বাস্তবতা হলো বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাটা ব্যয়বহুল, তবে না রাখাটা এর চেয়েও ব্যয়বহুল। সুতরাং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান অধ্যাপক ডা. আজাদ। তিনি বলেন, দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সমপরিমাণ প্রি-ডায়াবেটিস রোগী আছে, যা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ বছর ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস পালিত হয় ‘ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সর্বক্ষণ; সুস্থ দেহ, সুস্থ মন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে। সকালে বারডেম কার পার্কিং-এর নিচ থেকে টেনিস ক্লাবের গেট পর্যন্ত সচেতনতামূলক স্লোগান সংবলিত প্লাকার্ড হাতে অবস্থান, বারডেম ক্যাম্পাস এবং এনএইচএন ও বিআইএইচএস-এর বিভিন্ন কেন্দ্রসংলগ্ন স্থানে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল হ্রাসকৃতমূল্যে হার্ট ক্যাম্প করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ‘কান্তি’র বিশেষ প্রকাশনা, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ ও বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।