মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

রাউজানের উত্তর দলই নগর বিদ্যালয় : ইউপি চেয়ারম্যানের দখলে ২০ শতক জমি

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজানের উত্তর দলই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০ শতক জমি দখলে রাখায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিমাপ করে খুঁটি পুতে দিলেও ওই ইউপি চেয়ারম্যান বাহুর বলে স্থাপন করা খুঁটি উঠিয়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েমা জামাল।
জানা যায়, ১৯০৫ সালে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর দলই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সে সময় প্রাণ কৃষ্ণ মহাজন নামে এক দানশীল ব্যক্তি বিদ্যালয়ের জন্য ৫৮ শতক জমি দান করেন। পরে রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আরো দুই শতক জমি কিনে দেন। সে হিসেবে জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ শতক। কাগজে কলমে ৬০ শতক জমি হলেও দখলে আছে মাত্র ৪০ শতক। বাকী ২০ শতক দখলে রেখে ভোগ করে আসছেন গহিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাঁশি ও তার আপন ভাই নুরুল আলম। চেয়ারম্যান পরিবারে দখলে থাকা জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রিদুয়ানুল ইসলামের নিদের্শনায় সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে খুঁটি পুঁতে দেয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। খুঁটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের জমি দখল করে কতিপয় ব্যক্তি ঐক্যতান ক্লাব নাম দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে। উত্তর দলই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েমা জামাল বলেন, জমির নামজারির কাগজ পর্যবেক্ষণ করে বেদখলে থাকা জমি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি পুতে দিলে রাতের আঁধারে খুঁটিগুলো অপসারণ করা হয়। আমরা বিদ্যালয়ের বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার করে সীমানা নির্ধারণ করতে চাই।
এ বিষয়ে গহিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুর আবছার বাঁশি বলেন, ‘খুঁটিতে কি জায়গা চলে যাবে? আমাকে না জানিয়ে পরিমাপ করা হয়। স্কুলের জায়গা আমার বা আমার ভাই কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যের দখলে থাকলে আমরা ছেড়ে দিব। খুঁটি উঠিয়ে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, রাউজানে উত্তর দলইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমাণ ৬০ শতক। ওই জমির মধ্যে কিছু জমি স্কুলের দখলের বাইরে চলে যায়। রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে বেদখলে থাকা জমি পরিমাপ করে খুঁটি পুঁতে দখল করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়