মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল : সরকারের সীমাহীন দুর্নীতিই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এই সংকট কাটাতে সরকার আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে। অথচ দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে তা রোধ করা গেলে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন হতো না। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতিই দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ। চলমান এই সংকট একটি জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এই সংকট সমাধান সম্ভব নয়। এই দুর্বিষহ জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবাইকে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে এই ‘অবৈধ’ সরকারকে হটানোর জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আইএমএফের শর্ত পূরণে সারের পর তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফলে মানুষের ভোগান্তি কতটা বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। লক্ষ্য রাখতে হবে আইএমএফের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে যেন মানুষের বঞ্চনা ও কষ্ট না বাড়ে। বিশেষ করে সার, খাদ্য ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিপরীতে ওভার নাইট ভর্তুকি কমিয়ে দিলে জনভোগান্তি বাড়বে। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর যেন করের বোঝা না বাড়ে। যারা কর দেয় তাদের উপর বোঝা না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানো উচিত।
দেশ মহা বিপর্যয়ে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই, বরং সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সবকয়টি সূচকই আরো দুর্বল ও প্রকট হয়ে উঠেছে। অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, নজিরবিহীন ডলার সংকট, ডলারের বিনিময়ে টাকার অভূতপূর্ব অবমূল্যায়ন, ব্যাংকিং ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা, অপরিণামদর্শী ভ্রান্ত নীতি, অদক্ষ ও দলকানা নীতি বৈষম্য, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার, ঋণ প্রাপ্তির অপর্যাপ্ততা, সুশাসনের অভাব, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আয় বৈষম্য এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রহীনতা বর্তমান অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের মূল কারণ।
বিএনপি দেশে এতো সংকট দেখে, কিন্তু সরকার তো কোনো সংকট দেখে না, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের সংকট না দেখার কারণ হচ্ছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সংসদে তাদের জবাবদিহিতা থাকত। তারা সব সময় একটা মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা করে, ভয়-ভীতি, চাপ সৃষ্টি করে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে। একটা মিথ্যা ধারণার মধ্যে জনগণকে রাখতে চায়। এটা ফ্যাসিস্টদের চরিত্র।
নিঃশর্ত মুক্তির পর খালেদার রাজনীতি : এদিকে গতকাল সকালে জাতীয়তাবাদী যুবদলের নব গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্ত হওয়ার পরেই রাজনীতিতে ফেরার প্রসঙ্গ আসবে। আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারপর অন্যকিছু। এ সময় বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেখানে বাংলাদেশ শুধু পয়সা দিয়ে যাবে। কোনো লাভ পাবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়