মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : হাওড়ের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ পানি প্রবাহ ও নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের জন্য হাওড়াঞ্চলের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে। আমি ইতোমধ্যেই জমি ভরাট না করে হাওড়, বিল ও জলাভূমি এলাকার প্রতিটি রাস্তা এলিভেটেড করার নির্দেশনা দিয়েছি। বর্ষা মৌসুমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের চলাচল যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। নৌকাসহ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয়- সেজন্য সব সড়ক এলিভেটেড করা হবে।
মিঠামইনে গতকাল মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসের প্রধান ফলক উন্মোচন করেন। আবদুল হামিদ সেনানিবাসের ৪টি ইউনিট পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ার, এসএসডি ও সিএমএইচ এবং এসএসডি জাজিরার পতাকা উত্তোলন ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এ সময় উপস্থিত নবনির্মিত ইউনিটগুলোর পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জে. মো. সাইফুল আলম, জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার সাভার ঘাটাইল এরিয়া মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী এবং জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার সাভার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন ও বেলুন উড়িয়ে দেন। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন ও সালাম গ্রহণ করেন। এরপর সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং পরিদর্শকদের বইতেও স্বাক্ষর করেন।
হাওড় এলাকাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই সেনানিবাসটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- এমন আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হবে। হাওর এলাকার মানুষ সবসময় তাদের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর হতে এ এলাকা থেকে বারংবার নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে এবং তাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে তিনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি এখানে একটি সেনানিবাস স্থাপনের ইচ্ছা করেন। তার ইচ্ছে অনুযায়ী আমরা এই সেনানিবাস স্থাপন করেছি। আবদুল হামিদ ডেপুটি লিডার, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির মতো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি যে পদেই ছিলেন- সেখানেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি তার টানা দ্বিতীয় মেয়াদেও সফলভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, আমরা তার নামে সেনানিবাসের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ গঠনে রাষ্ট্রপতির বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন নিবেদিতপ্রাণ এবং জনগণের সেবা করার জন্য তিনি সৎ জীবনযাপন করেন। তাই, আমরা তার নামে এই সেনানিবাসের নামকরণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করে। তবে এটা খুবই দুঃখজনক যে, করোনা ভাইরাস মহামারি, বৈশ্বিক মন্দা এবং পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের অগ্রগতি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এবং পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। উন্নত দেশগুলোও এতে ভুগছে। তবে, আমাদের দেশে আমরা অর্থনীতির চাকা সচল করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব যাতে মন্দার ঢেউ দেশে আঘাত করতে না পারে। আমাদের সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে, আমাদের কঠোরতা বজায় রাখতে হবে। সম্পদ সংরক্ষণ করতে হবে। সিএমএইচ প্রসঙ্গে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে। সব পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য মেস ও এসএম ব্যারাক নির্মাণের পাশাপাশি তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের বেতন-ভাতা ও রেশনের ব্যবস্থাসহ আমরা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বাড়িয়েছি। বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাস বিবেচনা করে রুটির বদলে আমি তাদের জন্য দুই বেলা ভাত ও মাছ-মাংসের ব্যবস্থা করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়