মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

বিএসইসি চেয়ারম্যান : পুঁজিবাজারে সুখবর মার্চেই

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজার মার্চ থেকে ভালো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার ব্রোকারেজ হাউজ ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটি লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, সব মার্কেট ঠিক আছে। শুধু সেকেন্ডারি মার্কেটে সমস্যা। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসেছি তারা কিছুই বলতে পারে না। সেকেন্ডারি মার্কেটে তো আমাদের হাত নেই। প্রাইমারি মার্কেটে, বন্ড মার্কেটে আমরা ভালো করছি। মার্চ থেকে মে জুনের মধ্যে ব্যাংকগুলোর ডিভিডেন্ড চলে আসবে। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হাজার হাজার কোটি টাকার সক্ষমতা বেড়ে যাবে। ঠিক কত হাজার কোটি টাকা বাড়বে এর সংখ্যাটা না বলতে পারলেও এটা অনেক বড় হবে। মার্চে অনেক সুখবর আসা শুরু হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা আর আগের মতো নেই। একই মার্কেট নিয়ে সবাই কাড়াকাড়ি করে। বাংলাদেশে যোগ্যতা থাকলে আয় করা যায় বিদেশের থেকে বেশি। বাংলাদেশে প্রচুর সুযোগ।
তিনি বলেন, এই মার্কেটে যদি এক টাকাও লাভ করতে পারেন তাইলে প্রতিদিন ১৭ কোটি টাকা লাভ করা যায়। ১০ পয়সা লাভ করলে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা প্রতিদিন লাভ করা সম্ভব। প্রতি বছর পার কেপিটাল ইনকাম ও জিডিপি গ্রোথ হচ্ছে। ইউরোপের অর্ধেক দেশ থেকে আমাদের জিডিপির সাইজ বড়। মালয়েশিয়ার থেকে জিডিপির সাইজ অনেক বড়। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারীদের একটা ভয় হচ্ছে ফ্লোর প্রাইস উঠে যাবে। এ আতঙ্কে গুজব ছড়াচ্ছে বাজারে। ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানিয়া শারমিন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। সব সিকিউরিজ যথাযথ আইন মেনে কাজ করবো আমরা। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সব নিদর্শন না মেনে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপদ রেখে কীভাবে তাদের সঞ্চয় বৃদ্ধি করা যায় শুরু থেকেই আমাদের সে লক্ষ্য থাকবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে শান্তা এসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, কীভাবে পুঁজিবাজারে স্বতন্ত্র্য ধারার একটি স্টক ব্রোকারেজ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করা উচিত। ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটির মালিকদের নিজেদের জন্য আর কিছুই করার নাই। তাই আমি তাদের অনেক বেশি এনকারেজ করবো। অনেক বেশি বেশি ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট নিয়ে আসুন।
ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা এখানে এসেছি। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়