মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

ফের স্বপ্নপূরণে উচ্ছ¡সিত মেসি

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : নিজের শেষ বিশ্বকাপে এসে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নপূরণ করেছেন লিওনেল মেসি। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বকাপের শিরোপা। অধরা স্বপপূরণের পর করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হারিয়ে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন মেসি। আবারো স্বপ্নপূরণের পর উচ্ছ¡সিত সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা।
গত বছর দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মেসি। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়। গত মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৪ জন ফুটবলারের মধ্য থেকে পুরুষ ফুটবল জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক, সাংবাদিক এবং ফিফার ওয়েবসাইটে দেয়া ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে তিনজনের নাম ঘোষণা করেছিল ফিফা। এই তিনজনের মধ্য থেকে ৫২ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন মেসি। আর দ্বিতীয় হওয়া এমবাপ্পে পেয়েছেন ৪৪ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা বেনজেমা পেয়েছেন ৩৪ ভোট। পুরস্কার পাওয়ার পর উচ্ছ¡সিত হয়ে মেসি বলেন, ‘আমি আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আমি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এবং লিওনেল স্কালোনি এখানে উপস্থিত আছি। আমরা আমাদের সতীর্থদের প্রতিনিধিত্ব করছি। তাদের ছাড়া আমরা এখানে উপস্থিত থাকতে পারতাম না, যেমনটা আমার কোচ স্কালোনি বলছিলেন। আমার জন্য পাগুলে একটা বছর ছিল। অনেক লড়াইয়ের পর আমি আমার স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছি। অনেক চাওয়ার পর অবশেষে সেটি ধরা দিয়েছে। বিশ্বকাপ জয় আমার ক্যারিয়ারে সুন্দর জিনিসগুলোর একটি। আমার মনে হয়, সব ফুটবলারই এটার স্বপ্ন দেখে এবং খুব কম মানুষই এটি অর্জন করতে পারে। আমি যথেষ্ট সৌভাগ্যবান যে সেটা করে দেখাতে পেরেছি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমি পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমার পরিবার এবং আর্জেন্টিনার জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এ অর্জনকে আমাদের মতো করে উদ?যাপন করেছে। সেটা খুবই বিশেষ একটা মাস ছিল, যা কিনা অনেক দিন পর্যন্ত আমাদের সবার স্মৃতিতে থেকে যাবে। আর বেশি কিছু নয়, আমি আমার সন্তানদের চুমু পাঠাতে চাই। যারা এটা দেখছে। থিয়াগো, মাতেও এবং চিরো আমি তোমাদের ভালোবাসি। এখন ঘুমুতে যাও। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’
এই নিয়ে মোট সাতবার ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন মেসি। ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন নামে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছিল ফিফা। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ একবার জেতেন মেসি। পরের ছয় বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবল আর ফিফা যৌথভাবে চালু করে ফিফা ডি’অর। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ‘দ্য বেস্ট’ নামে এককভাবে এই পুরস্কার চালু করে ফিফা। ২০১৯ সালে এই পুরস্কার জয়ের পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতে নেন মেসি। তার আগে দুইবার দ্য বেস্ট পুরস্কার জিতেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং রবার্ট লেভানদোভস্কি।
ফিফা বর্ষসেরার তালিকায় এবার বর্ষসেরা কোচ, গোলরক্ষক ও ফ্যানও নির্বাচিত হয়েছে আর্জেন্টিনা থেকে। বর্ষসেরা কোচ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল স্কালোনি। ২৮ ভোট পেয়ে পেছনে ফেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ও ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাকে। আনচেলত্তি পেয়েছেন ১৭ ভোট আর গার্দিওলা পেয়েছেন ১২ ভোট। বর্ষসেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ২৬ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের থিবো কোর্তোয়া এবং মরক্কোর ইয়াসিন বুনোকে। কোর্তোয়া পেয়েছেন ২০ ভোট আর ইয়াসিন পেয়েছেন ১৪ ভোট।
এছাড়া নারী বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন গতবারের সেরা খেলোয়াড় আলেক্সিস পুতেয়াস। স্পেন ও বার্সেলোনায় খেলা এই তারকা পেয়েছেন ৫০ ভোট। ব্যালন ডি’অর বিজয়ী ২৯ বছর বয়সি পুতেয়াস পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী স্ট্রাইকার বিথ মিড ও যুক্তরাষ্ট্রের তারকা অ্যালেক্স মরগানকে। মিড ও মরগার যৌথভাবে পান ৩৭ ভোট। নারী ক্যাটাগরিতে সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের ইউরোজয়ী ডাচ কোচ সারিনা উইগম্যান। তিনি পেয়েছেন ২৮ ভোট। আর তার পেছনে থাকা ফ্রন্সের সোনিয়া বমপাস্তর পেয়েছেন ১৮ ভোট ও সুইডেনের পিয়া সুন্ধেজ পেয়েছেন ১০ ভোট। বর্ষসেরা নারী গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ইংলিশ গোলরক্ষক ম্যারি এরাপস। তিনি পেয়েছেন ২৬ ভোট। তার প্রতিদ্ব›দ্বী চিলির ক্রিস্টিয়ানে এন্ডলার পেয়েছেন ২২ ভোট। আর জার্মানির আন-কাটরিন বারগার পেয়েছেন ১০ ভোট।
বর্ষসেরা গোলের জন্য পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জেতেন মার্সিন ওলেক্সি। স্ক্র্যাচে ভর করে বাইসাইকেল কিকে অসাধারণ এক গোল করেছিলেন ওলেক্সি। এই প্রথমবার পেশাদার ফুটবলারের বাইরে শারীরিক প্রতিবন্ধী ফুটবলারের হাতে উঠল এই পুরস্কার। বর্ষসেরা ফ্যান নির্বাচিত হন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। পুরস্কার তুলে দেয়া হয় কার্লোস পাসকুয়ালার হাতে। যিনি দেশের অন্যতম বিখ্যাত ভক্ত এবং ১৩টি বিশ্বকাপ মাঠে থেকে দেখেছেন। আর বর্ষসেরা ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড জেতেন লুকা লোকোশভিলি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়