মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

পাকিস্তানে চাকরি হারানোর শঙ্কায় লাখো মানুষ

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ডলার সংকটে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আনতে না পারায় স্থবির হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের শিল্প খাত। অনেক কলকারখানা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধই হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন লাখো মানুষ। অর্থনৈতিক দুরবস্থার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের টেক্সটাইল খাতে। ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন পাকিস্তানের (এনটিইউএফ) মহাসচিব নাসির মানসুর বলেছেন, নতুন করে কমপক্ষে ১০ লাখ কর্মী (ইনফর্মাল ওয়ার্কার) চাকরি হারাবেন। যার বেশিরভাগ হবে টেক্সটাইল খাতের।
এশিয়ার অন্যতম বড় টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ পাকিস্তানের টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক বিলিয়ন ডলার।
এর আগে ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে পাকিস্তান। এই বন্যায় দেশটির ৪৫ ভাগ তুলা ভেসে যায়। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিদেশ থেকে তুলা আমদানি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় সেটিও সম্ভব হচ্ছে না।
এ বছরের শুরুতেই একটি সংবাদ সম্মেলনে টেক্সটাইল এসোসিয়েশন জানিয়েছিল, এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ৭০ লাখ মানুষ ইতোমধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
এরপর বড় ধাক্কা পড়েছে অটোমোবাইল ও যন্ত্রাংশ উৎপাদন শিল্পে। বেচা-কেনা কমে যাওয়ায় এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন। মূলত আমদানি নির্ভর শিল্পগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বন্যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষি খাতেও। যেসব কৃষি প্রতিষ্ঠান এখনো ছাঁটাই শুরু করেনি, সেসব প্রতিষ্ঠান শিগগিরই তা শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষির সঙ্গে জড়িতও অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়বে।

ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ইরফান ইকবাল জানিয়েছেন, অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে অবশ্যই আমদানি সচল রাখতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর আরোপিত ‘অঘোষিত’ নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়