মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

ঢামেকে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় নার্সদের মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নার্সদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই নারী নার্সসহ ৩ জন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নার্সরা। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় ওই নারীর। এরপরই রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত নার্সদের ওপর চড়াও হয়। রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের দরজা, গøাস, টেবিল, ওষুধের ট্রলিসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। পরে মরদেহটি ছাড়পত্র ছাড়াই জোর করে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। তখন তাদের সঙ্গেও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালটির ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ নাজমা খাতুন অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মনোয়ারা বেগম (৬০) নামে এক নারীকে রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তি করে ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা তাকে রিসিভ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তখন দায়িত্বরত নার্সরা চিকিৎসককে খবর পাঠান। এই মুহূর্তেই রোগীর স্বজনরা নার্সের (পুরুষ) ওপর চড়াও হয়। তাকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। এটি দেখে ২ জন নারী নার্স এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে তারা। তিনি জানান, এই ঘটনায় এক নারী নার্সের হাতের আঙুল কেটে গেছে। সেখানে ৩টি সেলাই করতে হয়েছে। এছাড়া বাকি দুজনের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।
মৃত মনোয়ারা বেগমের ছেলে মো. সুজন জানান, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার মদনপুর এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যায় এলাকায় একটি অটোরিকশার ধাক্কায় তার মা আহত হন। স্থানীয় হাসপাতাল থেকে রাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মায়ের মৃত্যু হয়। নার্সদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, তার মায়ের মৃত্যুর পর ওয়ার্ডে হট্টগোল শুরু হয়। তবে যারা নার্সদের মারধর করেছে তাদের কাউকে তিনি চেনেন না।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। মৃতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে নার্স, কর্মচারীদের মারধর করেছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনাটি রাতেই পুলিশে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিযুক্তদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। হাসপাতালের চিকিৎসা পরিস্থিতি সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়