মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

ডিএনসিসি হাসপাতাল কর্মীদের বিক্ষোভে সড়কে যানজট

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এক বছর ধরে বেতন না পাওয়ার মধ্যে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর শতাধিক চিকিৎসা কর্মী মহাখালীতে হাসপাতালের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করে। পিপিই-গাউন পরে কয়েকজন আন্দোলনকারী সড়কে শুয়েও পড়েন। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাছে সড়কের একপাশে তাদের অবস্থানের কারণে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়, যা বিমানবন্দর সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাফিক বিভাগ ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ঘণ্টা খানেক আলোচনার পর বিকাল সাড়ে ৫টায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে তুলে দেয়।
আন্দোলনকারীদের একজন মো. খালিদ বলেন, কোভিড মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালে তিনি ওয়ার্ডবয় হিসাবে চার মাসের চুক্তিতে এই হাসপাতালে যোগ দেন। পরে কয়েক দফায় তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। মহামারির প্রকোপ কমে যাওয়ার পর আমাদের দিকে আর ‘তাকাচ্ছে না’ কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন বন্ধ। আজ সকালে সবাইকে ডেকে বলে দেয়া হয়েছে যে আমাদের চাকরি আর নেই। এই তালিকায় ২০২ জন ওয়ার্ডবয়, আয়া ও অ্যাটেনডেন্ট রয়েছেন।
আন্দোলনকারী মো. মহসিন জানান, বেতন বকেয়া রেখে চাকরিচ্যুত করায় ‘বাধ্য হয়ে’ তারা সড়কে নেমেছেন। ডিএনসিসি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের অভিযোগ, তারা এক বছর ধরে বেতন পান না। এ সময় আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন- ‘কোভিড যোদ্ধারা রাস্তায় কেন’, ‘চাকরি চাই, বেতন চাই’।
মহাখালীতে সাত দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির বিপণিবিতানকে কোভিড মহামারি শুরুর পর হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। এটি তৈরি করা হয়েছিল কারওয়ান বাজারের আড়ত সরিয়ে আনতে। তবে ব্যবসায়ীরা না আসায় এটি খালি পড়েছিল। ২০২০ সালে সেখানে প্রথমে গড়ে তোলা হয় এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার, পরে চিকিৎসাও দেয়া হয় সেখানে। গত বছর ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসাসেবাও দেয়া হচ্ছিল এই হাসপাতালে। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালুর সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, এখানে দোকান বরাদ্দ থেকে বছরে ১০০ কোটি টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে নগরবাসীকে সেবা দিতে এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়