মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

অসীম সাহা : প্রাণের বইমেলাকে পণ্যমেলা করা যাবে না

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ১৯৭৭ সালের দিকে সম্ভবত প্রথম বইমেলায় গিয়েছিলাম। শুধু বইকে ঘিরে একটি মেলা হচ্ছে, সেটি ভাবতে এবং দেখতে খুবই ভালো লেগেছিল। তখন ফেব্রুয়ারি এলেই মনে হতো একটি উৎসব শুরু হয়ে গেছে। যেহেতু অল্প বয়স থেকেই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাই বাংলা একাডেমির বইমেলার প্রতি একটা বাড়তি আকর্ষণ অনুভব করতাম। মনে হতো বইয়ের মাঝে সারাক্ষণ ডুবে থাকার একটি বড় উপায় হচ্ছে বইমেলার আয়োজন। তখন প্রায় প্রতিদিনই মেলায় আসতাম। সেইসময় সারারাত জেগে ভোরে শহীদ মিনারে যেতাম। তবে ফেলে আসা সেই মেলা আর এই মেলার মধ্যে অনেক তফাৎ। বইমেলা প্রসঙ্গে ভোরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে কবি অসীম সাহা এভাবেই তার প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, বইমেলা হচ্ছে এজন্য আমার আলাদা একটা আনন্দ আছে। কিন্তু নিজে স্বশরীরে ঘুরতে না পারলে প্রাণের মেলার স্বাদটাতো সেভাবে প্রাণভরে অনুভব করা যায় না। এবার মাত্র একদিন বইমেলায় এলাম। স্বশরীরে আসতে না পারার একটি কারণ বয়স। আছে শারীরিক অসুস্থতাও। বেশি ভিড়, লোকজন আর ধুলোবালির মধ্যে গেলেই অসুস্থ বোধ করি। আগে যখন বয়স কম ছিল, তখন তো বলা চলে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমিতেই পড়ে থাকতাম। কেবল রাতে ঘুমুতে যাওয়ার জন্য বাসায় ফিরতাম। সারাক্ষণ বই নিয়ে আড্ডা, তর্ক, গল্পে মেতে থাকতাম।
বিশিষ্ট এই কবি আরো বলেন, বইমেলার যে আবেদন সেটা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। তখন বইমেলা এত বিস্তৃত পরিসরে আয়োজন করা হতো না, অল্পসংখ্যক প্রকাশক মেলায় অংশ নিতেন। ঘুরে ফিরে বেড়াবার, আড্ডা দেয়ার অনেক খোলা জায়গা ছিল। আর এখন মেলা বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় মেলার পরিধি বেড়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত। তখনকার মেলা এখনকার তুলনায় অনেক বেশি সাদামাটা ছিল, তবে প্রাণের উচ্ছ¡াস ছিল। এখন মেলা আয়োজনেও বিশ্বায়নের প্রভাব পড়েছে। নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মেলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে এখনকার মেলা অনেক বেশি আধুনিক সাজসজ্জার এবং আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। তবে প্রাণের মেলাকে কিছুতেই পণ্য মেলা হয়ে উঠতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মানে এখন কেবল ভাষার মাসই নয়। ফেব্রুয়ারি এখন আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলা চর্চারও মাস। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে বইমেলার সঙ্গে সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানমালাও। এসব প্রাসঙ্গিকতা থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না কিছুতেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়