মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

অভয়াশ্রমে দুই মাস মাছ শিকার নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিভিন্ন অভয়াশ্রমে দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। বরিশাল, চাঁদপুর, ল²ীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যে দিয়ে নদীগুলো বয়ে গেছে। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস পাঁচ নদীর ৩৭২ কিলোমিটার এলাকায় মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। এজন্য এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নিজ জেলার মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবেন ৮০ কেজি।
জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে ল²ীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নি¤œ অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার, ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তুম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এবং বরিশাল সদর উপজেলা, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে ল²ীপুর থেকে মো. কামাল হোসেন জানান, জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। জেলেদের সচেতন করার জন্য নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সব ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্য সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু জেলেদের পুনর্বাসন করার কথা থাকলেও সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। যে পরিমাণ জেলে রযেছে, সে পরিমাণ সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন জেলেরা। নিষেধজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল লুটপাট না করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত যেন তা পেতে পারে সেটা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। এবারও অভিযান সফল হলে অধিক পরিমাণ ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়