নিছক শূন্য প্রান্ত অবধি- নভঃ অন্তর খোলা মাঠ
উদ্বাস্তু কুয়াশা পেরিয়ে কিছুক্ষণ পরে আসবে রবি
রজনি পোহানোর আগ পর্যন্ত-
ভাবনার অন্তজালে আটকা পড়েছিল বৈরাগী কবি।
ভেবেছিল উদীয়মান দেবতাতুল্য উষার আলোয় আছে
উদারমনা সমমনার মান,
যার যার মতো কাব্য রচনায়
অস্ত যাবার আগেই খুঁজেছে নিজের নাম।
রজনির যাত্রালগ্নে জ্যোৎস্নার ঝলমল আলোয়
অবনীর মন করেছিল উদাস,
স্বার্থ পূরণের আগে কেটে পড়েছে
সময়ের আগে করেছে পরিহাস।
তাই কবি ফিরেছে সবুজ-শ্যামল বনানীর কাছে-
পুষ্প লতার প্রেমে বিনয়মান ভালোবাসা,
ওরা ছিল আরো ক্ষণিক, আর যাযাবর
ঠিক অসময়ে করে যায় হতাশা।
নিরাশ হয়ে কবি- যাত্রা করেছিল অথৈ-সমুদ্রে
ভেসেছিল- শেষ আশার ভেলায়,
ওখানে আরো ব্যতিক্রম
সমুদ্র মেতেছিল- জল আর জলযানের চুম্বন খেলায়।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নেই,
তাই ফিরে এসেছে কবি- মানুষের মাঝে
মানুষতো আরো বহু বেশি স্বার্থপর
ব্যস্ত সবাই নিজ নিজ কাজে।
তাই কবি নিছক শূন্যতায় ফিরে গেছে-
নীরবে লিখে, নীরবে এঁকে যায় ছবি,
নাঙ্গলের ক্ষুরধারে হাল টেনে যায়
বিস্তৃত খোলা মাঠে রুদ্ধ কবি।
– রুদ্র শাহীন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।