যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যার মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

বিদেশিদের নজর ঢাকার দিকে : ব্যস্ত সময় পার করলেন ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

সাহিত্যচর্চা ও আলোচনার ক্ষেত্রে ভোরের কাগজ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনেকে বলেন আজকাল দৈনিক খবরের কাগজ কেউ তেমন পড়েন না বা পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। আবার অনেকে বলেন দৈনিক খবরের কাগজ না পড়লে দিনটা যেন শুরুই হতে চায় না। সত্যি বলতে কি অন্তর্জাল আজ সবই প্রকাশ্যমান করছে মুহূর্তেই চোখের সামনে। এ প্রসঙ্গে অনেকে বলেন কথাটা যতটুকু সত্য ঠিক তার চেয়ে দ্বিগুণ সত্য আলোকজগৎমালার খবর কেমন করে যেন অস্তিত্বময় হয়ে ওঠে না প্রিন্ট করে দৃশ্যমান না করলে। আবার অন্তর্জালে প্রবেশের জন্য যে উপকরণের দরকার তা এ দেশের অধিকাংশ জনগণের জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এছাড়া রয়েছে টেকনিক্যাল প্রাজ্ঞতা, যেটা এতই আধুনিকমুখী যে যারা নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন তারা অন্তর্জাল জগতের খিটিরমিটির সঙ্গে পরিচিত হতে তেমন উৎসাহী নয়। তবে যোগাযোগের তত্ত্ব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই প্রথমে নতুন কোনো সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত হতে চান না, আবার কিছু অংশ প্রাথমিকভাবে তা পুরাপুরি গ্রহণ না করলেও পরে পরে তা সমর্থন করেন, আবার কিছু অংশ নতুন সিস্টেম গ্রহণ করে এবং এটা রপ্ত করতে চেষ্টা করে আবার কিছু অংশ এটাতে মনোযোগী ও নিবিষ্ট হয়ে ওঠে দক্ষতা অর্জনে। আমার দৃষ্টি কিন্তু দুদিকেই সীমাবদ্ধ। কারণ চলমান জীবনে দুটিরই প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ও বর্তমান সময়ে সর্বজনস্বীকৃত। তারপরেও দৈনিক খবরের কাগজ প্রাত্যহিক জীবনের একটা বিশেষ অংশজুড়ে রয়েছে। এ প্রয়োজনকে সামনে রেখে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বের হচ্ছে নানা দৈনিক খবরের কাগজ ভিন্ন ভিন্ন নামে ও আকারে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক কালের অর্থাৎ মার্চ ২০২২-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খবরের কাগজের সংখ্যা ৪৯০ ও মফস্বল বা স্থানীয় দৈনিক খবরের কাগজের সংখ্যা ৭৮৪। এছাড়া অর্ধ সাপ্তাহিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, দ্বিমাসিক, ত্রৈমাসিক, চতুর্মাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক সব মিলিয়ে ৩ হাজার ১৬০টি পত্রিকা নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে বের হচ্ছে। এগুলোর সবটাতেই কমবেশি সাহিত্যচর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
যা হোক আমার আলোচ্য বিষয় ‘দৈনিক ভোরের কাগজে সাহিত্য’। এই একটি পত্রিকা প্রকাশকালের পর থেকে ব্যতিক্রম সত্তায় যুগপৎ হেঁটে গেছে সাহিত্যের বিষয় নিয়ে, জাগরণ তুলেছে সাহিত্যপ্রেমী মানুষের মনোদ্বারে। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, ১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রকাশের পর থেকে প্রায় ৩১ বৎসর ধরে ভোরের কাগজ একটা ব্যতিক্রমী ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশের ধারা আজো অব্যাহত রেখেছে। সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিত্যনতুন কলেবরে উদ্ভাসিত হয়েছে দেশে চলমান অন্যান্য দৈনিক খবরের কাগজের মতো।
অনস্বীকার্য যে সময়ের প্রতি দৃষ্টি রেখে ‘ভোরের কাগজ’ প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে এর সাহিত্য পাতায় নতুনত্বের বিস্তার ঘটানোর সুযোগ রেখে আঙ্গিক সাজিয়েছে বারবার। এতে সাহিত্য পাতায় নতুন লেখকের লেখার পরিসর যেমন সৃষ্টি হয়েছে তেমনি বোদ্ধা লেখকের কলমের ঝনাৎকার আলোড়িত করেছে প্রকাশের মাত্রাকে। ফলে ৩১ বছরে সৃষ্টি হয়েছে অনেক বরেণ্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিক। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে একজন নবীন লেখক ও কবি প্রবীণ লেখক বা কবিদের সৃষ্টকর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের লেখাকে যুগোপযোগী ও ধারালো করে তোলার সুযোগ পাওয়ায় সাহিত্য ক্ষেত্রে উর্বরতা দৃশ্যমান হয়। এখানে হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে কীভাবে সাহিত্য ক্ষেত্র উর্বর হয়? আর কীভাবে লেখক, কবি ও সাহিত্যিক তাদের উৎকর্ষতা ছড়ায়। এটা জানা কথা, ভালো মানের লেখা সে কবিতা হোক বা গল্প, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ হোক ভরা ফসলের অবারিত সোনালি মাঠের মতো সাহিত্য প্রাঙ্গণকে আলোকময় করে তুলতে পারে। যাদের সৃষ্টকর্ম পাঠকের মনে হৃদয়তন্ত্রীতে সুর তুলতে পারে, জায়গা করে নিতে পারে প্রতিষ্ঠার সুন্দরে, শেষান্তে তারা তাদের অভীষ্টে পৌঁছে যায় ধীরে ধীরে।
যা হোক প্রসঙ্গ হলো সাহিত্যচর্চা ও আলোড়ন বা আলোচনার ক্ষেত্র ‘ভোরের কাগজ’। প্রথমেই দৃষ্টিপাত শানাই সাহিত্য কী? সাহিত্য কাকে বলে?

খরঃবৎধঃঁৎব রং ধ পড়সঢ়ড়ংরঃরড়হ ড়ভ ধহু ৎিরঃঃবহ ড়িৎশ, নঁঃ রঃ রং ধষংড় ঁংবফ সড়ৎব ঢ়ৎবপরংবষু ভড়ৎ ৎিরঃরহমং ংঢ়বপরভরপধষষু পড়হংরফবৎবফ ঃড় নব ধহ ধৎঃ ভড়ৎস, বংঢ়বপরধষষু ঢ়ৎড়ংব ভরপঃরড়হ, ফৎধসধ, ধহফ ঢ়ড়বঃৎু.

সাহিত্য হলো কোনো কিছু নিয়ে লেখার সমষ্টি।
এটা হলো শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সাহিত্য শিল্পের মাধ্যমেই একটি সাধারণ লেখাও হয়ে ওঠে ভিন্ন এবং অসাধারণ।
বিশদভাবে বলা যায় সাহিত্য হলো একটা শৈল্পিক শব্দ প্রকাশের ধারা বা হাতিয়ার যা আবর্তিত হবে গদ্য, পদ্য ও নাটক, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ নিয়ে। যেখানে একটা সাধারণ বিষয়বস্তুও অসাধারণ হয়ে ওঠে শব্দ সজ্জার নিপাট, নিখুঁত শৈল্পিক বন্ধনে। মোদ্দা কথা হলো, সাহিত্য বলতে যথাসম্ভব কোনো লিখিত বিষয়বস্তুকে বুঝায়। অর্থাৎ সাহিত্য শিল্পের এমন একটা অংশকে বুঝায় যেখানে কোনো লেখা শিল্পের বা বুদ্ধিমত্তার আঁচে বিশেষ কোনো সাধারণ লেখা থেকে আলাদা হয়ে ওঠে। মোট কথা, ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা-চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তব জীবনের অনুভূতির প্রতিফলিত রূপই হচ্ছে সাহিত্য। ধরন অনুযায়ী সাহিত্যকে কল্পকাহিনী বা বাস্তব কাহিনী কিংবা পদ্য, গদ্য এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। পদ্যের মধ্যে ছড়া, কবিতা ইত্যাদি, গদ্যের মধ্যে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি শাখা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এছাড়া অনেকে নাটককে আলাদা প্রধান শাখা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেন। নাটকের মধ্যে নাটিকা, মঞ্চনাটক ইত্যাদিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

এবার আসি সাহিত্যের কথামৃতগুলো কীভাবে মানে কোন উপকরণের মাধ্যমে পাঠকের মনোভূমে আলোড়ন তুলে, স্পন্দিত করে ভালো লাগার মুহূর্তগুলোকে। উপকরণগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে বই, তারপর নানান পত্রিকা ও ম্যাগাজিন। তবে এসবের মধ্যে খবরের কাগজ বা পত্রিকার ভূমিকা অগ্রপ্রধান। ম্যাগাজিন বা লিটল ম্যাগ সাহিত্য চর্চার একটা মাধ্যম হলেও তা কালের সমীকরণে নিত্যদিনের তথ্য-উপাত্তের প্রতিফলন ঘটাতে পারে না। অন্যদিকে খবরের কাগজ সাহিত্যের নিত্যনতুন দিক উন্মোচন করে প্রতিদিন। খবরের কাগজকে এককথায় বলা চলে সাহিত্যচর্চার আঁতুড়ঘর।
২.
আমাদের দেশে যে কয়েকটা প্রথিতযশা বা বহুল প্রচারিত খবরের কাগজ রয়েছে এর সবকটাতেই রয়েছে সাহিত্যচর্চার ব্যাপক সুযোগ। নানাভাবে নানারকমে এখানে সাহিত্য অঙ্গনকে সাজানো হয় ভিন্ন ভিন্ন ধারার সাহিত্যের উৎকৃষ্ট সৃষ্টকর্ম নিয়ে। এসব সাহিত্যকর্ম নিঃসন্দেহে সাহিত্যাঙ্গনকে নিয়ত আলোকিত ও আলোড়িত করছে। এসব লেখার মাধ্যমে একজন লেখক পাঠকমহলে যেমন আদৃত হয়ে উঠেন তেমনি পরিচিতি পেয়ে যান একটা সময়ে। একটা বিষয় এখানে বললে অত্যুক্তি হবে না যে খবরের কাগজের মাধ্যমে একজন লেখক খুব সহজে পাঠকের একান্ত একজন বা পরিচিত হয়ে ওঠেন।
তারপরেও এখানে কথা থেকে যায় সব লেখক কি সবসময় যে কোনো খবরের কাগজে লেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। উত্তরে বলতে হয়, না। কারণ- ১। সাধারণত কোনো লেখার গুণগত মান ঠিক না থাকলে সহজে তা খবরের কাগজে স্থান পায় না। ২। নিয়মিত অর্থাৎ পরিচিত লেখক না হলে সহজে খবরের কাগজে স্থান পায় না। ৩। স্বজন প্রিয়তা বা নানা পছন্দের কারণে অনেকের লেখা খবরের কাগজে ছাপা হয় না। ৪। অনেক খবরের কাগজ সুনাম রক্ষার্থে নতুন লেখক সৃষ্টিতে মনোযোগী হতে চান না, ফলে ওই খবরের কাগজে নিজ বলয়ের লেখকের লেখা ছাড়া নতুন লেখকের লেখা ছাপা হয় না। ৫। খবরের কাগজে সাহিত্য পাতায় পরিসরের অপ্রতুলতার কারণে একাধিক লেখকের লেখা ছাপাতে হয় বলে নতুন কোনো লেখকের লেখা দীর্ঘ হলে তা সম্পাদক মহোদয় ছাপাতে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন।
উপরোক্ত কারণগুলো কমবেশি গ্রহণযোগ্য না হলেও এর সত্যতা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। আমরা যারা শহর বলুন বা মফস্বল বলুন সাহিত্যচর্চা করে যাচ্ছি তারা এর যথার্থতা উপলব্ধি করতে দ্বিমত করবেন না কিছুতেই যে, লেখার প্রকাশ বা বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে যখন পত্রিকায় লেখা পাঠানো হয় ছাপানোর জন্য তখন বিড়ম্বনা বা প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয় প্রায় ক্ষেত্রে। কারণ নতুন লেখকের লেখা প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষণের সুযোগ বা অবকাশ থাকে না কোনো সম্পাদকের। অন্যদিকে নিম্নমানসম্পন্ন লেখা ছাপিয়ে নিজের কাঁধে দায়ভার নেয়ার সাহসিকতা খুব কমসংখ্যক সম্পাদক অন্তরে লালন করেন। তাই নতুন লেখকদের তাদের লেখা মানসম্পন্ন হলেও লাইম লাইটে আসতে, পরিচিত হতে বেশ স্ট্রাগল বা সংগ্রাম করতে হয়। অথচ দেখা যায় নতুন লেখকদের অনেকেরই লেখার গভীরতা এতই অর্থবহ ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ যে তা অনেক প্রবীণ লেখকের লেখাকে ছাপিয়ে যায়। আর এদের লেখার আলোতে আনতে কিছু কিছু পত্রিকা ও পত্রিকার সম্পাদক সচেষ্ট হয়ে ওঠেন নিজস্ব তাগিদে। এ রকম একটা দৈনিক খবরের কাগজ হলো ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’। বলতে কার্পণ্য নেই যে সাম্প্রতিককালে ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’ প্রবীণদের সঙ্গে নবীনদের লেখার সন্নিবেশন ঘটিয়ে নতুনদের মাঝে একদিকে যেমন অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করে যাচ্ছে অন্যদিকে সাহিত্যের ক্রমবর্ধমান ধারায় নতুনত্বের সমাবেশ ঘটিয়ে সাহিত্যাঙ্গনকে আধুনিকতার মোড়কে ঢেলে সাজাতে সচেষ্ট থেকেছে ব্যতিক্রমী চিন্তন ও মননে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি মফস্বলের অনেক প্রতিভাবান কবি ও লেখক খুব সহজেই ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’-এ পাচ্ছে লেখার সুযোগ। এমনও দেখা গেছে মফস্বলের কবি বা লেখকের লেখা মানসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় পত্রিকায় সুযোগ না পেয়েও দৈনিক ভোরের কাগজে নিয়মিত লিখতে পারছে। ফলশ্রæতিতে বড় আঙ্গিকে লেখার সুযোগ পাওয়ায় একজন নবীন লেখক তার সৃষ্টকর্মকে জিইয়ে রাখতে অর্থাৎ পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিতে লেখাকে ধারালো ও শানিত করে গ্রহণযোগ্য করতে মনোযোগী হয়ে ওঠে। এর ফলে অনেক লেখক ক্রমে তাদের একটা অবস্থান খুঁজে পায়। অনেক কবি ও সাহিত্যিক দৈনিক ভোরের কাগজের বদৌলতে আজ তাদের পরিচিতি পেয়েছে, পাঠক হৃদয়ে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় রাখতে পেরেছে- এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক্ষেত্রে অন্য দৈনিক পত্রিকাগুলো যে এ ধরনের সুযোগ তৈরি করছে না সে কথাও হলফ করে বলা যায় না তবে তা তুলনামূলক হাতেগোনা।
একজন ভালো মানের লেখক বা সাহিত্যিক সৃষ্টির মানসিকতা কয়টা খবরের কাগজের সম্পাদকের থাকে তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও কিছু কিছু সম্পাদকের উদার মানসিকতা, সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ, গভীর ভালোবাসা নবীনদের সুযোগ দিতে নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করে মান্ধাতা আমলের ধ্যান-ধারণার প্রাচীর ভাঙতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ফলে সাহিত্যাঙ্গনে নবীন সর্বোপরি নতুন নতুন লেখকের লেখা প্রকাশ পেতে থাকে। এতে সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে নবতর আস্বাদনে ও আলোড়নে।

৩.
আমার এই নাতিদীর্ঘ আলোচনা ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’কে ঘিরে হলেও অন্যান্য খবরের কাগজে সাহিত্যের বিকাশ সাধনে সমধারা আনয়নে একটা বৈষম্যহীন নীতি বা ধ্যান-ধারণা পরিপুষ্ট হলে অনেক নতুন লেখক বা সাহিত্যিকের সন্ধান মিলবে সাহিত্য জগতে। কারণ সাহিত্যের বিকাশ সাধনে খবরের কাগজের ভূমিকা বলতে গেলে অগ্রগণ্য বৈকি। তাই প্রত্যেকটা খবরের কাগজে নবীন-প্রবীণের লেখা একই সঙ্গে প্রকাশিত হলে লেখার মান বৃদ্ধি পাবে, শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। পরিশেষে বলা যায়, নবীন-প্রবীণের সম্মিলিত সৃজনী ধারা সাহিত্যক্ষেত্রে আলোড়িত হলে খবরের কাগজের বিশেষ আয়োজন সাহিত্য পাতা বা সাহিত্য সাময়িকী আলোকময় হয়ে উঠবে, তা নিশ্চিত বলা যায়।

রূপক বরন বড়ুয়া
কবি ও লেখক, চট্টগ্রাম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়