যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যার মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

বিদেশিদের নজর ঢাকার দিকে : ব্যস্ত সময় পার করলেন ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এনজিওদের অংশীদারিত্ব

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের বুকে উন্নয়নের একটি অনুকরণীয় রোল মডেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হওয়া, অর্থনীতিতে দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচ দেশের তালিকায় জায়গা করে নেয়া, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাফল্য অর্জনকারী দেশগুলোর প্রথম সারিতে বাংলাদেশের অবস্থান, এসডিজি অর্জনে এগিয়ে থাকা শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান, পদ্মা সেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ঢাকা মেট্রোরেল, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২০২১’ নামে শতবর্ষের উন্নয়ন পরিকল্পনা। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণের পেছনে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়ার ইতিহাস। দরিদ্র দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পরিচয় ছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সেই বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তোরণ হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ২০২২ সালের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭৩.৬ বছর। ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার, মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭.২৫ শতাংশ, যাতে পর পর দুই বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এছাড়া কৃষি, তৈরি পোশাক, দারিদ্র্য দূরীকরণ, রেমিট্যান্স, আমদানি, রপ্তানি, নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, কলকারখানায় উৎপাদনসহ অনেক ?সূচকে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের যতগুলো ধাপ রয়েছে বাংলাদেশ একের পর এক অতিক্রম করে চলেছে। এ সাফল্য সরকারের একার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও একা সম্ভব নয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলদেশে সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বেসরকারি সংস্থা তথা এনজিওগুলো। তাই দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি অন্যতম অবদান হলো এনজিও সেক্টরের। এনজিও সেক্টর কীভাবে এই কাজে অংশগ্রহণ করেছে তা সংক্ষিপ্তভাবে বলছি। যেমন স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে এনজিওর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে এনজিওগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত করছে। এতে সমাজের সব স্তরে দারিদ্র্য হ্রাস ও অধিকার আদায় নিশ্চিত হচ্ছে। এছাড়া সরকারের সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছে এনজিওরা। টিকা নেয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুদের সচেতন করে টিকা কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন এনজিও কর্মীরা। এখন আর সচেতন করতে হচ্ছে না, টিকা ভীতি কেটে গেলে এখন প্রায় সব অভিভাবক সন্তানের টিকা নিশ্চিত করছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ বিষয়ে কাজ করছে এনজিওগুলো। সরকারের পুষ্টি কর্মসূচি সফল করার জন্য এনজিওগুলো কাজ করছে। কুষ্ঠ ও য²া রোগ নির্মূল করার চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরিচর্যায় এনজিওগুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোলা পায়খানার পরিবর্তে পাকা স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি পায়খানা ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়েছে। এমনকি ল্যাট্রিনকে জনপ্রিয় করার জন্য কখনো বিনামূল্যে, কখনো স্বল্প মূল্যে গরিব-অসহায়দের রিং সø্যাব সরবরাহ ও স্থাপন করেছে। এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খোলা টয়লেট দেখা যায় না, যার ফলাফল এখন কোনো রোগ মহামারি আকার ধারণ করছে না। হাতকে পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত করে ধোয়ার অভ্যাস করা, যাতে রোগ-জীবাণুর বিস্তার রোধ করা যায়। কিশোর ও কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা, বয়ঃসন্ধিকালীনবিষয়ক ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা ও চর্চা করার জন্য উপকরণ বিতরণ করেছে ও টিকার জন্য আগ্রহী করেছে এনজিওরাই। গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন যতœ, প্রসবকালীন যতœ ও প্রসব-পরবর্তী মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য যতœ বিষয় দক্ষতা উন্নয়নসহ ধাত্রী প্রশিক্ষণ দিয়েছে এনজিওরা। এসিড সন্ত্রাস প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতায় এসিডের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন ও এসিডে সন্ত্রাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, আইনগত সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থায় সহযোগিতা করেছে এনজিওরাই।
‘এক মুটো গুড়, তিন আঙুলের ডগা দিয়ে এক চিমটি লবণ ও আধা লিটার বিশুদ্ধ পানি’- এই সেøাগান নিয়ে এনজিও কর্মীরা প্রতিটি ঘরে ঘরে স্যালাইন বানানোর পদ্ধতি শিখিয়েছেন এবং ব্যবহার নিয়ম পৌঁছে দিয়েছেন মানুষের কাছে। এটি ডায়রিয়া প্রতিরোধে পানিশূন্যতা ও লবণ ঘাটতি দূর করার জন্য মুখে গ্রহণযোগ্য খাবার ছিল। স্যালাইন তৈরিতে এই ফর্মুলার সাফল্য আজো শতাব্দীর সেরা অগ্রগতি বলা যায়। এখন আর ডায়রিয়া মহামারি আকার ধারণ করছে না।
শিশু শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, নারী শিক্ষা, জেন্ডার শিক্ষা ইত্যাদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে এনজিওরা নিরলসভাবে কাজ করেছে। দেশের নিরক্ষরতা দূর করতে যেসব জায়গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেখানে শিশুদের ও বয়স্কদের জন্য অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে এনজিওরা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অধিকারভিত্তিক বাধামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এনজিরা কাজ করছে। তাদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এনজিরা। এনজিরাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি করেছে। বাজার চাহিদা অনুযায়ী আইসিটি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই প্রতিবন্ধীরাও আর পিছিয়ে নেই। তারাও মূলধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হচ্ছে। এনজিওরাই প্রতিবন্ধী মানুষকে সংগঠিত করে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অধিকার আদায়ে সহায়তা করছে। কৃষিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সামাজিক সচেতনতা শিক্ষার মাধ্যমে ও উপকরণ সরবরাহ করে আধুনিক প্রযুক্তির চাষাবাদে এনজিওদের ভূমিকা ব্যাপক।
এনজিওরা মানুষের চিন্তা, চেতনা আচরণগত পরিবর্তন করার জন্য কাজ করেছে, বিশেষ করে নারী-পুরুষের বৈষম্যরোধে কাজ করেছে, যার ফলে জেন্ডার সমতায়ন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে আজকে জেন্ডার ফোকাল, যৌন নিপীড়ন, শিশু সুরক্ষা কমিটিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কমিটি গঠন এনজিওদের প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার ফসল। নাগরিকের অধিকার ও স্টেকহোল্ডারদের জবাবদিহিতা চর্চার মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যায়ে সুশাসন ও ন্যায়বিচারের যোগসূত্র স্থাপন করেছে এনজিওরা। এনজিওরা জীবন দক্ষতার উপাদানগুলো নিয়ে সমাজের ছাত্র-যুবক-কিশোর-কিশোরীদের মাঝে নিরলসভাবে কাজ করেছে, বিশেষ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমস্যা সমাধান, সৃজনশীল চিন্তা, সহানুভূতি, সমানুভূতি, আত্মসচেতনতা, প্রজনন স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়।
কিছু ক্ষেত্র ছাড়া আগে নারীরা নিজেদের ঘর থেকে বের হতে পারত না। সেখান থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে এনজিওরা। দেশে প্রথম সাইকেল-মোটরসাইকেল চালনা করে কাজ করা শিখিয়েছে এনজিওরা, যার ফলে এখন নারীরা দেশের সবক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এখন তৃণমূলে নারীরা তাদের অধিকার বিষয় বেশ সচেতন। এনজিওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরিব, অসহায়, প্রতিবন্ধী মানুষকে জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ও চাহিদামাফিক জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে আসছে।
এনজিওরাই দেশের লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে চলেছে। এমডিজি অর্জনে কাজ করেছে, এসডিজির ক্ষেত্রে কোন কার্যক্রমগুলো গুরুত্বপূর্ণ তা চিহ্নিত করে কাজ করে যাচ্ছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়নের জন্য এনজিওগুলো দারিদ্র্য বিমোচনের সহায়ক ভূমিকা হিসেবে তামাক চাষিদের লাভজনক ফসলভিত্তিক শস্য বিন্যাস প্রচলন, গবাদি পশু পালন ও বিকল্প চাষে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করছে। তামাক চাষবিরোধী বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সহিংসতা ও উগ্রবাদ থেকে দূরে থাকার জন্য জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কাজ করছে। ধূমপান, মাদকের অপব্যবহার ও ঝুঁকি হ্রাসে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এনজিওরাই দেশে যুব কর্মসংস্থান, যুব প্রশিক্ষণ, যুব উদ্যোক্তা তৈরি করে তরুণ যুবদের ক্ষমতায়নে এগিয়ে আসছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জরুরি মানবিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এনজিওগুলো সরকারের নির্দেশিত নিয়মানুযায়ী ও সমন্বয়পূর্বক ব্যাপক আকারে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ করে যাচ্ছে। লোভে পড়ে অবৈধ উপায়ে বিদেশ যাওয়া মানুষদের পাচার সম্পর্কে সচেতন করা, অভিবাসন প্রক্রিয়াকে নিরাপদ ও সার্থক করে তুলতে বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, পরিবেশদূষণ প্রতিরোধে বাসাবাড়ি ও অন্যান্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এনজিওরাই কাজ করছে।
দেশে এমন কোনো সেক্টর খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানের উন্নয়নে এনজিওর কার্যকরী অংশগ্রহণ ও ভূমিকা নেই। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জন, রূপকল্প ২০৪১ বা বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ ও এনজিওদের সব উদ্যোগের সুষ্ঠু সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। এজন্য সরকার ও এনজিওর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। একে অপরের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও অসম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।

মো. আরিফুর রহমান
লেখক : প্রধান নির্বাহী, ইপসা
পিএইচডি গবেষক, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, ভারত

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়