যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যার মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

বিদেশিদের নজর ঢাকার দিকে : ব্যস্ত সময় পার করলেন ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

একজন ছাত্রের যুদ্ধ যাত্রা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সাল। আমি সিলেট মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মেডিকেলে তৃতীয় বর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২ বছর মেডিকেলে পড়লেও নন-ক্লিনিকেল বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়। দুইটা প্রফেশনাল পরীক্ষায় (আমাদের সময়) পাস করে তৃতীয় বর্ষে ওঠে তবেই সাদা এপ্রোন ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সংস্পর্শ মিলে। ডাক্তারি ভাবটা তৃতীয় বর্ষেই আমরা উপভোগ করেছি এবং এতে আমাদের মধ্যে ‘ডাক্তার’-এর গর্বিত ভাবটা প্রকটভাবে ফুটে উঠত।
তবে ১৯৭১ সালে আমরা অতটা সৌভাগ্যবান ছিলাম না। ১৯৬৯ সাল থেকে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল তা থেকে আমরা আলাদা ছিলাম না। গণ-অভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের সাধারণ নির্বাচন দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক সচেতন মানুষকে ছুঁয়ে ছিল। আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম ছিল ঢিলেঢালা। অনেকে প্রত্যক্ষ ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রতিদিন প্রায় মিটিং মিছিল লেগে ছিল।
এখনকার সময় তৃতীয় বর্ষের আরেকটি আকর্ষণীয় কার্যক্রম ছিল ‘হাইজিন ট্যুর’। হাইজিন বা কম্যুনিটি মেডিসিন তখন তৃতীয় বর্ষে পড়ানো শুরু হতো এবং উপযুক্ত সময়ে ‘হাইজিন ট্যুর’-এর ব্যবস্থা থাকত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্ব স্থাপনার সঙ্গে ছাত্রদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হতো। প্রায় একমাস ব্যাপী এ ট্যুর আমরা খুবই উপভোগ করেছি। ৭১’ সালে আমরা বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোফাখখারুল ইসলাম স্যারের নেতৃত্বে কলেজের বাস নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। কয়েকটি জায়গার পর আমরা ঢাকা আসি। ঢাকায় পাগলার পানি শোধনাগার, আদমজি জুট মিল ইত্যাদি পরিদর্শনের পর ঢাকায় অবস্থান কালেই হঠাৎ ১ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করা হয়। সেদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল। খেলা বন্ধ হয়ে গেল, লোকজন শ’য়ে শ’য়ে হাজারে হাজারে রাস্তায় নেমে এলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে সেøাগান দিতে থাকল।
আমরা স্যারের নির্দেশে রমনা পার্কে সমবেত হলাম। স্যার ট্যুর বাতিল ঘোষণা করলেন এবং তাৎক্ষণিক সিলেটের উদ্দেশ্যে ‘হাইজিনট্যুর’ দল রওনা হলো। আমি গেলাম না। রয়ে গেলাম ঢাকায়। বুঝতে পারছিলাম সিলেটে কোনো ক্লাস হবে না। তাছাড়া ঘটনা যা ঘটেছে তো ঢাকাতেই। এখানেই থাকি। থাকি বড় বোনের বাসায় মগবাজারে। আর সারাদিন পাড়ায় মহল্লায় মিছিল মিটিং। এর পরের ঘটনাবলী সবার জানা। ছাত্র-জনতার অসহযোগ আন্দোলন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। মুজিব-ইয়াহিয়ার বৈঠক। বৈঠক বসে প্রতিদিন। আমরা কয়েকজন বসে থাকি রমনা পার্কের বাউন্ডারি দেয়ালের ওপর। রাস্তার ওপাশের ঘরে বৈঠক চলে। বঙ্গবন্ধু আসেন, সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন মতামতের জন্য। বৈঠক শেষে বের হয়ে যান একি কায়দায়। এদিকে ঢাকা হয়ে উঠল মিছিলের শহর। শত শত মিছিল, বিভিন্ন এলাকা থেকে- সব মিছিল শেষ হয় ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িতে। বঙ্গবন্ধু বেলকনিতে আসেন, হাত নেড়ে দু’চার কথা বলেন। মিছিল শেষ হয়। এভাবে চলে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
২৫ মার্চ রাত বাঙালির জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর রাত- কাল রাত। পাক বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। ঢাকায় রুদ্ধশ্বাস অবস্থা। গোলাগুলি, মেশিন গান, কামানের আওয়াজ। কারফিউ। কারফিউ একটু সিথিল হলো- ৩০ তারিখ পাড়ার আরো দশ বারোজন ছাত্রযুবকসহ বেরিয়ে গেলাম। চারিদিকে চাউর হয়ে গেল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্যও যুদ্ধে যাব।
ঢাকা থেকে হেঁটে মুড়া পাড়া- শীতলক্ষা নদীর পাড়ে। সেখান থেকে বড় নৌকায় গফরগাঁও, ওখান থেকে হেঁটে ময়মনসিংহ। কতদিন লেগেছিল মনে নেই। ৬/৭ দিন হবে হয়তো। পথে পথে হাটে বাজারে নৌকা থামত, নেমে পড়তাম- সংগ্রাম কমিটির খিচুড়ি জুটত। আর একটু সমাবেশ হলে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে দিতাম আমরা কেউ কেউ। ২/৪ টাকা পেতাম মাঝে মাঝে।
গফরগাঁও যে, আমরা স্কুল ঘরে কাটালাম এক রাত। সকালে দেখি স্কুল মাঠে কাঠের বন্দুক কাঁদে নিয়ে কিছু যুবক ট্রেনিং নিচ্ছে। এতে আমরা আরও উদ্দীপিত হলাম। চল যাই যুদ্ধের ময়দানে। রওনা দিলাম ময়মনসংিহ পানে। হেঁটে। গফরগাঁও থেকে ময়মনসিংহের দূরত্ব ৪০/৫০ মাইলের মতো হবে। কাঁচা রাস্তা ধুলায় ভরপুর। তবু হাঁটার বিরাম নেই। পথে কোথায় যেন খেলাম। সন্ধ্যার পরে পৌঁছালাম, গন্তব্য আওয়ামী লীগ অফিস। ২ দিন ছিলাম ওখানে। তারপর জামালপুর। এ পথটুকু রিকশায় গিয়েছি। পার্টি অফিস থেকে ৩-৮টা রিকশা ঠিক করে দিয়েছিল। না হয় যেতে পারতাম না কারণ সবারই পা ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছে। হাঁটার প্রশ্নই আসে না। বহুদিন পরে রিকশায় চড়ে খুব আরাম ও মজা লেগেছিল। জামালপুরে আমরা ডা. এলাহীর বাবা সিংহজানি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাসায় উঠি। বাসায় তখন উনি ছাড়া আর কেউ নেই। পরিবারের সবাইকে মাদারগঞ্জের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমরাও চলে গেলাম মাদারগঞ্জে ওনার বাড়িতে। বাড়িতে গিয়ে দেখলাম ওখানে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। চেনা-অচেনা অনেক লোক সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। ওনারা কয়েক পরিবার সবাইকে আশ্রয় দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন।
এর মধ্যে আমাদের দলে ভাঙন ধরেছে। পথে পথে অনেকেই ঝরে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত আমি আর দুই ভাই- মন্টু ও বাবু। বড় ভাই দৈনিক আজাদ পত্রিকায় কাজ করতেন ছোট ভাই ডিগ্রি ক্লাসের ছাত্র- আমরা জোট হলাম। সিদ্ধান্ত এখান থেকে ভারত যাব- ট্রেনিং নেব যুদ্ধ করব।
মাদারগঞ্জের এই আশ্রয়স্থল থেকে আমার যুদ্ধযাত্রা।
যুদ্ধ কোনো ছেলেখেলা নয়:
মাদারগঞ্জ থেকে মেলান্দহ হয়ে দেওয়ানগঞ্জ ও তারপর যমুনার বিস্তীর্ণ চর পার হয়ে ভারত- এই হলো মোটামুটি রুটম্যাপ। ওই বাড়ির ময়নাভাই আমাদের তিনজনকে নিয়ে সকালে রওনা হলেন মেলান্দহ অভিমুখে। দুপুরে ওনার এক আত্মীয় বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া হলো এবং এখানেই ওনার সঙ্গে আমাদের ছাড়াছাড়ি- উনি বাড়ির দিকে ফিরে গেলেন আর আমাদের ডানহাতের তর্জনী দিয়ে দেখিয়ে দিলেন কোনদিক যেতে হবে। একবার পিছে তাকিয়ে ছুটলাম সামনের দিকে। তখন মনে হলো আমি সম্পূর্ণ একা। কোনো স্বজন স্বদেশ ব্যতিরেকে এক যোদ্ধা যুদ্ধে যাচ্ছি। আনন্দে শিহরিত হচ্ছি আবার মনে চাপা ভয় আবার কি ফিরতে পারব প্রিয় স্বদেশে স্বজনদের মাঝে? তারপরও সাহস নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি সামনে। সঙ্গে তো দুজন আছে মন্টু ভাই আর বাবু। কারো সঙ্গে বাহুল্য কিছু নেই। আমার হাফশার্ট, পরনের প্যান্ট, স্পঞ্জের মেন্ডেল আর হাতঘড়ি ও চশমা। পকেটে ৫-১০ টাকা কোত্থেকে এলো এ মুহূর্তে বলতে পারব না। আর বুকে বল অসীম সাহস। আর দেশের জন্য মায়ের জন্য প্রচণ্ড ভালোবাসা।
দেওয়ানগঞ্জের কাছাকাছি আসতে গ্রামবাসীর কাছে জানতে পারলাম এর মধ্যে দেওয়ানগঞ্জ সুগার মিলে পাক আর্মির সেনা ক্যাম্প বসানো হয়েছে এবং আমরা যেন অতি সাবধানে রেললাইন পার হই। রেললাইন পার হলেই গ্রাম এবং যমুনার চর। তারপর আর কোনো বাধা নেই। সোজা উত্তরে সামনে গেলে সীমান্ত- ওপারে ভারত।
হার্ট বিট এবং উত্তেজনা বেড়ে গেল। দু’কারণে। এক. বিনা ঝামেলায় রেললাইন পার হতে পারব কি না, দুই. ওই যে যুদ্ধক্ষেত্র দেখা যায়। মাঝে শুধু রেললাইন।
সন্তর্পণে রেললাইন পার হলাম। চারদিকে সুনসান। কাকপক্ষীরও আওয়াজ নেই, কোনো কোলাহল নেই। কোথাও কেউ নেই, কোনো মানুষ জন দেখা যাচ্ছে না। সামনে সরু যে রাস্তাটা পেলাম সেটা ধরেই হাঁটা দিলাম। প্রথমে আস্তে আস্তে- পরে জোরে আরো জোরে। অনেক দূর চলে আসলাম এবং মনে হলো বিপদসীমা পার হয়ে এসেছি, খুব আনন্দ হলো। কিন্তু মহাবিপদ যে সামনে বুঝব কীভাবে?
চরাঞ্চল, বাড়িঘর কম। দূরে দূরে। এক বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা- আমরা চুপচুপ যাচ্ছি হেঁটে। দেখলাম সামনে একটা বড় গাছের ছায়ায় গ্রামের কিছু লোক বসে আলাপ করছে। আমাদের দেখে থামাল। কারা আমরা এদিকে কোথায় যাচ্ছি কেন যাচ্ছি এসব প্রশ্ন করতে শুরু করল। আমরা তো সরল মনে বললাম- ঢাকা থেকে ইন্ডিয়া যাচ্ছি যুদ্ধ করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে। আমরা জয় বাংলার লোক। তখন কয়েকজন বলল এরা দুষ্কৃতকারী পাকিস্তানবিরোধী। পাকিস্তানকে ভাঙার জন্য যুদ্ধ করতে যাচ্ছে। এদের ধরে মেজর সাহেবের কাছে নিয়ে চলো। শুনে তো আমাদের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া। আমরা অনুনয় করলাম আমাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য। অঙ্গীকার করলাম আমরা যুদ্ধ করব না। সুযোগ ফেলেই যার যার বাড়িতে ফিরে যাব। কিন্তু কার কথা কে শুনে। কেউ আস্তে কেউ উত্তেজিত ও উচ্চ স্বরে আমাদের বকাবকি শুরু করল। সমাবেশের কেউ কেউ ক্ষীণ স্বরে বলতে লাগল বাদ দাও- কার ছাওয়াল কার নাতি কোথাকার কে ওদের যেতে দাও। শেষ পর্যন্ত ওদের কথা শুনল সবাই, আমরা মুক্তি পেলাম। আবার হন্টন। মুক্তির আনন্দ ও মনে অন্তরে। মনে হচ্ছে যুদ্ধের প্রথম আক্রমণ প্রতিহত করলাম ও জয় করলাম। জয়ের আনন্দে ফুরফুরে মন, সুন্দর পরিবেশ, নিরিবিলি শান্তশিষ্ট লেজবিশিষ্ট- মতন। সামনে পেছনে ডাইনে বাঁয়ে কোনো লোকজন নেই। সামনে জলাশয় দেখে কাপড়-চোপড়সহ নেমে গেলাম গোসলে।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত শ্রান্ত ক্ষুধার্ত। মনে হচ্ছে আর পারব না। এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে দৃষ্টিও বেশিদূর যাচ্ছে না। সামনে ঝোপ ঝাড়ের মতো গাছপালা। এর ভেতর থেকে কে যেন চিৎকার করে উঠল ‘হল্ট’।
রাইফেল উঁচিয়ে কয়েকজন তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। গায়ের ইউনিফর্ম, মাথায় হেলমেট দেখেই মনে হচ্ছে আর্মির লোক। পাকিস্তানি নয়তো? শিগগিরই বুঝতে পারলাম আমরা বর্ডারে চলে এসেছি। ভারতীয় সৈনিকরা আমাদের ভেতরের দিকে আসতে দিল এবং স্থানীয় বাজারের পথ দেখিয়ে যেতে বলল। বাজারটা ছিল মেঘালয়ের একটা থানা- মহেন্দ্রগঞ্জ। ওখানে পৌঁছে আমাদের শরণার্থী অভ্যর্থনা অফিসে যেতে বলল স্থানীয়রা। ওখানে নাম ঠিকানা লিখার পর আমাদের কিছু চাল ডাল দিল। একজন আমাদের স্থানীয় এক বাড়িতে নিয়ে গেল সেখানে আমাদের মতো অনেকেই অবস্থান করছে। একটু শোয়ার জায়গা দেখিয়ে দিতেই বিছানা বালিশ ছাড়া চালের পোটলা মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙল পরদিন সকালে। ক্ষুধায় মর মর অবস্থা। বাজারে গিয়ে পাকিস্তানি টাকায় নাস্তা করলাম। চা খেলাম। মনে হলো একটু প্রাণ ফিরে আসছে। বাজারটা ঘুরে দেখে মনে হলো আমাদের আবুরহাট বাজার থেকে ছোটই হবে। তবে কয়েকটি অফিস আছে যেমন থানা ইত্যাদি। এই ছোট্ট জায়গা এর মধ্যে হাজার হাজার বাঙালি শরণার্থীতে ভর্তি হয়ে উপচে পড়ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হচ্ছে মলমূত্র ত্যাগের অসুবিধা। একদিনেই মনে হলো এখানে আর একদিনও থাকা উচিত নয়, থাকতে পারব না।
পরদিনই খোঁজ করলাম ট্রেনিং কোথায়, যুদ্ধ কোথায়। শুনলাম ২/১ দিনের মধ্যে ট্রেনিংয়ের জন্য রিক্রুট আরম্ভ হবে। নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। ইয়া লম্বা লাইন, জোয়ান জোয়ান তাগড়া তাগড়া যুবক সব। হালকা পাতলা বলে নিজের প্রতি নিজেই অনাস্থায় ছিলাম। শেষ মুহূর্তে যদি বাদ যাই। আল্লাহর রহমত। আমাকে গ্রহণ করল।
এখনি যেতে হবে ক্যাম্পে- ইয়থ ক্যাম্প। তাড়াতাড়ি বাজারে গিয়ে মন্টু ভাই ও বাবুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে আসলাম। আমাদের হেঁটে নিয়ে যাওয়া হলো ছোট্ট একটি টিলার ওপর। নাম ধাম লিখে যার যার তাঁবু দেখিয়ে দিল। একটু পরই তীব্র শব্দে বাঁশি বেজে উঠল। চমকে ওঠলাম। আরেকজন এসে সবাইকে বের হয়ে আসতে বলল। আরেকজন শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ফল-ইন করতে বলল। এক খাটো মোটাসোটা হাফ প্যান্ট পরা লোক সামনে এসে হিন্দিতে বলল- ক্যায়সা হ্যায়। হাম ধন বাহাদুর হ্যায় তোমকে ট্রেনিং দেংগা- শুরু হলো ওস্তাদ ধন বাহাদুরের প্রশিক্ষণ- আমার যুদ্ধে যোগদান।

অধ্যাপক ডা. মো. জামসেদ আলম
চিকিৎসক ও লেখক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়