স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় ২২ মাসের শিশুকে আছাড় দিয়ে হত্যা

আগের সংবাদ

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের : হিরো আলমকে প্রার্থী রেছেন ফখরুলরা

পরের সংবাদ

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র : চুরি হওয়া কয়লা গ্রেডিং মেশিন মিলল ঢাকায়

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চুরি হওয়া ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা গ্রেডিং মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে মেশিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রামপালের বর্ণী গ্রামের বাদশা শেখ, পিরোজপুরের নরখালি গ্রামের রাব্বি ইসলাম, ফকিরহাটের চিত্রা গ্রামের কার্তিক শীল ও খাজুরা গ্রামের আবুল কারিম। তাদের মধ্যে কার্তিক ছাড়া অন্য তিনজন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। রামপাল থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ১৫ জানুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চুরি হয় কয়লা গ্রেডিং মেশিন। এ ঘটনায় পরের দিন রামপাল থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি ও প্রশাসন) অলিউল্লাহ।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, কেমিস্ট আব্দুল মালেক ল্যাব বন্ধ করার সময় টেস্টিং যন্ত্রটি টেবিলের উপরেই ছিল। আব্দুল মালেক চলে যাওয়ার আগে তালার চাবি ল্যাব-১ এর মুসা পারভেজকে দিয়ে ল্যাব টেকনিশিয়ান সাদ্দাম হোসেন এবং তানভীর রহমানকে দিতে বলেন। মুসা পারভেজ তাদের চাবি দেন। রাত ১০টায় সেই স্থানে ডিউটিতে আসেন জাকারিয়া আল রাজী এবং মাসুম বিল্লাহ।
১৫ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ডিউটি শেষ করেন তারা। এ সময় সাদ্দাম দায়িত্ব নেন। সকাল ৯টার দিকে রুম ক্লিনার আব্দুল নোমান ল্যাব-২ পরিষ্কার করতে গিয়ে টেবিলে মেশিন দেখতে না পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। অর্থাৎ সেখান থেকেই ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ১৫ জানুয়ারি সকালের মধ্যে যে কোনো সময় চুরির ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সামসুদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেশিন চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার ডেমরা থেকে মেশিনটি উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, ডেমরার ওই বাসাটি গ্রেপ্তারকৃত রাব্বির এক আত্মীয়ের বাসা। রাব্বি ও অন্যদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বাসা থেকেই মেশিন উদ্ধার করা হয়। চুরির সঙ্গে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বড় কোনো চক্র এতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ওই চক্রের কেউ গ্রেপ্তারকৃতদের মাধ্যমে মেশিনটি চুরি করিয়ে থাকতে পারে। এদিকে, শুধু এই কয়লা গ্রেডিং মেশিন চুরির ঘটনাই নয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে চুরির ঘটনা ক্রমাগত ঘটে চলেছে। গত ৯ মাসে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার ব্যাটালিয়ন খুলনার সদস্যরা ৩৩ জন চোরকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় চোরাইকৃত ৫৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়