স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় ২২ মাসের শিশুকে আছাড় দিয়ে হত্যা

আগের সংবাদ

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের : হিরো আলমকে প্রার্থী রেছেন ফখরুলরা

পরের সংবাদ

কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ : রাউজানে শুষ্ক মৌসুমে পানি নিয়ে টানাটানি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজান উপজেলার ডাবুয়া খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে যার যার সুধিধা মতো পানি ধরে রাখছে। এই খালের পানির ওপর নির্ভরশীল কৃষিজীবীদের মাঝে পানির ভাগাভাগি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা এক ¯্রােতা খালটির উপরের দিকে কয়েকটি জায়গায় বাঁধ দিয়ে পানি ধরে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালের মাঝে দেয়া বাঁধের কারণে নিচের দিকে থাকা শত শত কৃষকের ক্ষেত- খামারের ফসল পানির অভাবে শুকিয়ে মরছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, এক ¯্রােতা খালটির পানির প্রবাহ পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। রাউজানের ডাবুয়া, হলদিয়া, চিকদাইর ও গহিরা ইউনিয়নের কয়েক হেক্টর জমির চাষাবাদ এই খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। উপরের দিকে থাকা হলদিয়া ইউনিয়নের বিন্দাবন, জানি পাথর ও বৃক্ষবানুপুরের একাধিক স্থানে বাঁধ দিয়ে রাখায় নিচের দিকের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার খাল পানির অভাবে শুকিয়ে আছে। তিনটি ইউনিয়নের শত শত কৃষকের ক্ষেতখামার পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে।
পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, এই খালে সবচেয়ে বড় বাঁধটি দিয়ে রেখেছেন হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শাহজাহান। এই বাঁধটি দেয়ার ফলে উপরের দিকে খালটি পানিতে টইটম্বুর হয়ে আছে। অথচ নিচের দিকে কয়েক কিলোমিটার খাল শুকিয়ে গেছে। পানি বঞ্চিত কৃষকদের অভিযোগ, বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা পানির সুবিধা নিচ্ছে ওই এলাকার কৃষক ছাড়াও কয়েকটি ইটভাটা।
ডাবুয়া এলাকার পানিবঞ্চিত কৃষকদের মধ্যে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, জামাল, বাবুল, মঈন মিলে ৭৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তাদের দাবি, ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিয়ে চাষাবাদে নেমে তারা তরমুজ করেছেন। পানি সেচ দিতে না পারায় ক্ষেতের চারা শুকিয়ে যাচ্ছে। এক কিলোমিটার দূরের পুকুর ডোবা থেকে পাইপে পানি টেনে এনে ক্ষেত বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছি। আবুল কাসেম নামে অপর এক কৃষক বলেছেন, তিনি আড়াই একর জমিতে মৌসুমি ক্ষেত খামার করেছেন। পানি সেচ দিতে না পারায় এখন রোপণ করা চারা লালচে রং ধারণ করেছে।
খালের মাঝে বাঁধ দিয়ে রাখা হলদিয়ার সাবেক মেম্বার শাহজাহানের সঙ্গে কথা বললে তিনি দাবি করেন, তিনি এক শত ২০ কানি জমিতে চাষ করছেন। পানির ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের উপস্থিতিতে এলাকার কৃষকদের সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি যে বাঁধ দিয়েছেন, সেই বাঁধের নিচে পানি প্রবাহের জন্য মোটা পাইপ দিয়েছেন।
তবে পরিদর্শনের সময় দেখা যায় ওই বাঁধের নিচে কোনো পাইপ দেয়া নেই। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন- নিচের দিকে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা রেখে শাহজাহান মেম্বারকে নিচু করে বাঁধ দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল। নিচে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা রাখা না হলে বাঁধ কেটে দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়