স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় ২২ মাসের শিশুকে আছাড় দিয়ে হত্যা

আগের সংবাদ

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের : হিরো আলমকে প্রার্থী রেছেন ফখরুলরা

পরের সংবাদ

আইনজীবী সহকারীরা পাচ্ছেন স্বীকৃতি, হচ্ছে ‘এডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন আন্দোলন পর আইনজীবী সহকারীদের জন্য প্রণয়ন হচ্ছে ‘এডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন। একটি সর্বজনীন আইনের খসড়া তৈরি করে আগামী ২৮ দিনের মধ্যে এই আইন জাতীয় সংসদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ‘এডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন পাসে জাতীয় সংসদে সহযোগিতার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন স্পিকার।
বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির ৫ম মহাসমাবেশে ২০২৩-এ তারা এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি মো. নুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, উদ্বোধক ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. বশির আহমদ প্রমুখ।
আইনজীবী সহকারী সমিতির দাবিগুলোর বিষয়ে অবগত আছেন জানিয়ে স্পিকার বলেন, দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান্য পেয়েছে আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে পেশার স্বীকৃতি। বিচারকাজকে গতিশীল করার মাধ্যমে বিচারপ্রাপ্তি সহজলভ্য করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও সুবিচার নিশ্চিত করা ৭২-এর সংবিধানের মূল লক্ষ্য। এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আইনজীবী সহকারীরা।
তারা জনকল্যাণ ও সুবিচার নিশ্চিতে কাজ করছে। তাই তাদের স্বীকৃতির জন্য আইনের খসড়া প্রণয়নে পরিপূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী। সুতরাং একটি কার্যকর আইন প্রণয়নের করে আইন-অবকাঠামোর মধ্যে আইনজীবী সহকারীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে। আইনমন্ত্রীর আশ্বাস যখন দিয়েছেন, ফলে আইনটি চূড়ান্তকরণে আর কোনো বাধা নেই। জাতীয় সংসদে ‘এডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন পাসে আমি সহযোগিতা করব।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের কারণে আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়ন করা যায়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যাশনাল হিউমেন রাইটস অ্যাক্ট, ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড অরগানাইজেশন অ্যাক্টসহ নানা জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করছে।
এডভোকেট ক্লার্ক অ্যাক্ট প্রণয়নে কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হলো স্বামী-স্ত্রীর মতো। তাদের মধ্যে কোনো দ্ব›দ্ব হোক চাই না। তাই আমি চেয়েছিলাম সময় নিয়ে একটি সর্বজনীন আইন করতে হবে। এছাড়া আপনাদের দাবি ‘আইনজীবী সহকারী’ আইন কিন্তু বার কাউন্সিউল আইনে আছে ‘এডভোকেট-ক্লার্ক’। ফলে আইনটি প্রণয়ণে অসুবিধা হয়েছিল। এখন ‘এডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন নামে সবাই রাজি হয়েছে। এখন আর কোনো বাধা নেই। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে আইনটি চূড়ান্ত করে সংসদে পাঠানো হবে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়নে কোনো দ্বিমত নেই। আইনজীবী সহকারীদের ভারতসহ সবখানে আইনি কাঠামো আছে। এই আইন করা হলে বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, আইন করা হবে। শেখ হাসিনা সরকারের কাছে কোনো দাবির জন্য আন্দোলন করতে হয় না।
নুরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব জানেন। দ্রুত ‘এডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন পাস হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়