ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কনে বিদায়ের সময় অনিলবাবুর পাঞ্জাবি রাত্রির চোখের জলে ভিজে একশা। অল্প বয়সে মা-হারা মেয়েটা তখন থেকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলেছে।
– বাপি, আমি থাকব কী করে তোমাকে ছাড়া!
অনিলবাবু ক্রন্দনরতা মেয়ের পিঠে হাত বুলোতে বুলোতে বলেন, ‘এই বোকা মেয়ে, আমি তো মাঝেমাঝেই তোর সঙ্গে দেখা করতে যাব। আর তুই তো একজন নতুন বাবা পাবি।’
মেয়ে রাত্রি অশ্রæভরা চোখ বাপির পাঞ্জাবিতে ঘষতে ঘষতে বলে, ‘কিন্তু নতুন বাবা কি তোমার মতন হবে ?’
অনিলবাবু আশ্বস্ত করেন মেয়েকে, ‘আমার চেয়েও অনেক ভালো হবে দেখিস।’

দুই.
রাত্রির স্বামী দীপঙ্কর একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে মার্কেটিংয়ে কাজ করে। বেশির ভাগ সময়েই কলকাতার বাইরে যেতে হয়। এইতো বউভাতের তিন দিনের মাথায় চলে গেল ভুবনেশ্বর, কটক। এক সপ্তাহ পরে ফিরল। গত ছয় মাস ধরে একটি কথাই বলে যাচ্ছে, এই টুরের পরেই হানিমুনের প্ল্যানটা করে ফেলবে। এবার রাত্রি জানিয়ে দিয়েছে, তোমাকে কোনো হানিমুনের প্ল্যান করতে হবে না। তোমার নেক্সট টুরে আমিও তোমার সঙ্গে যাব, সেটাই আমাদের হানিমুন হবে। তা নাহলে আমি নিশ্চিত, আমাদের হানিমুন আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গেই করতে হবে।
রাত্রি অবশ্য একটি বাচ্চাদের স্কুলে পড়ায়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা। দীপঙ্কর কলকাতাতে থাকলে, ও বেরিয়ে যাওয়ার পরেই রাত্রিও বেরিয়ে যায়। স্কুলটা কাছেই। হেঁটেই যাওয়া-আসা করে। তবে শ্বশুরমশাই প্রায় দিনই রাত্রির সঙ্গে স্কুল পর্যন্ত যান, তারপর ওখান থেকে বাজারের দিকে। শ্বশুরমশাই বিমলবাবুকে রাত্রি ‘নতুন বাবা’ বলেই ডাকে। বাপি ঠিকই বলেছিল, নতুন বাবা খুব ভালো মানুষ। দীপঙ্কর যখন অফিসের কাজে বাইরে যায়, উনি রাত্রিকে নিয়ে সন্ধেবেলায় ঘুরতে বের হন। রাত্রিকে খুশি করার জন্য রাত্রির সঙ্গে ফুচকা খান, শালপাতায় ঘুগনির চাট খান আইসক্রিম খাওয়ার কাঠের চামচ দিয়ে। উনি অবশ্য একটা-দুটোই ফুচকা খান, কিন্তু রাত্রিকে কম করে দশটা ফুচকা না খাইয়ে রেহাই দেন না। রাত্রিবেলায় বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন বই থেকে অংশবিশেষ পড়ে শোনান। ওনার প্রিয় তিনজন ঔপন্যাসিক। উনি বলেন, বিংশ শতাব্দীর সেরা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রয়ী। উনি নাকি ছোটবেলায় পনেরো বছর বয়সে পথের পাঁচালী পড়ে এত কেঁদেছিলেন যে সংকল্প করেছিলেন, ভবিষ্যতে পথের পাঁচালী দ্বিতীয়বার আর পড়বেন না। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাটিও দেখেননি। বড় নির্মমভাবেই বিভূতিবাবু সর্বজয়ার হাতে দুর্গাকে মার খাইয়েছেন, মেয়েটির রেললাইন-রেলগাড়ি দেখার প্রত্যাশা অপূর্ণ রেখেছেন, আর শেষে এত অল্প বয়সে এত নির্মমভাবে উনি মারতে পারলেন দুর্গাকে? উনি যখন ওনার মনের এই কথাগুলো রাত্রিকে শোনান, রাত্রির ওর নতুন বাবাকে বুঝতে আর বাকি কিছু থাকে না। বুঝতে পারে এই নতুন বাবার বুকে মাথা রেখে সে নিশ্চিন্তে চিরটাকাল শুয়ে থাকতে পারবে।
শাশুড়িমা নিভারণী দেবী প্রচণ্ড ব্যস্ত মানুষ। রাশভারী, একটু গম্ভীর। ভালো, তবে আপাতদৃষ্টিতে রাত্রির কাছে ঠিক নতুনবাবার মতন মনে হয় না। ভয় না পেলেও, রাত্রি সমীহ করে শাশুড়িমাকে। একবার আড়াল থেকে শুনতে পেয়েছিল নতুন বাবাকে বলতে,
– লোকে নাতি-নাতনির সঙ্গে যে ঢঙে কথা বলে, তোমাকে লক্ষ্য করেছি তেমন করে কথা বলতে বউমার সঙ্গে। খেয়াল রেখো, ছেলের বউকে আদর দিয়ে আবার মাথায় তুলো না।
রাত্রি অবশ্য এতে কিছু মনে করেনি। মা এতদিন ধরে স্কুলে পড়াচ্ছেন, একটু মাস্টারনি ভাব তো আসবেই।
শাশুড়িমা কাকভোরে বিছানা ছেড়ে, স্নান সেরে, ঠাকুরপূজা দিয়ে হেঁশেলে ঢোকেন। তখন পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ, সব ঘুমিয়ে। সকাল পৌনে সাতটায় বের হন। একটি স্কুলে গত কুড়ি বছর ধরে ইতিহাস পড়ান। স্কুলে যাওয়ার আগে সবার জন্য জলখাবার, দীপঙ্করের জন্য টিফিনবাক্স গুছিয়ে রাখেন। দুপুরের জন্য ডাল-ভাজা-মাছ-তরকারি রান্না করে টেবিলের উপর ঢাকা দিয়ে রাখেন। রাত্রি সকালে উঠে শুধু সবার জন্য চা বানায়। আগে শাশুড়িমা নিজেই বানাতেন। এখন রাত্রি এই সংসারে আসার পর সকালের চা-টা নিজেই বানায়। শ্বশুরমশাই পছন্দ করেন রাত্রির বানানো চা। অল্প দুধ দিয়ে পাতলা করে দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়ির সুগন্ধওলা চা বানায়। জল ফুটিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ভিজতে দেয় চাপাতাগুলোকে। দুধ আলাদা গরম করে পরে মেশায়। রাত্রি চা বানানোর এই প্রণালি বাপির থেকে শিখেছে। বাপি খুব শৌখিন চায়ের ব্যাপারে। শাশুড়িমা জলখাবার আর চা খেতে খেতেই রাত্রিকে সব বুঝিয়ে দিয়ে তারপর স্কুলের জন্য বের হন। এর মধ্যেই কাজের মাসি চলে আসে। রান্না করা খাবারগুলো ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতে বলেন। দুপুর সাড়ে বারোটায় ওনার স্কুল ছুটি। রাত্রি এই সংসারে আসার পূর্বে, উনি স্কুল থেকে ফিরে ভাত করে শ্বশুরমশাইকে খেতে দিতেন। এখন রাত্রি স্কুল থেকে শাশুড়িমায়ের আগে চলে আসে। তাই ভাতটা রাত্রিই করে ফেলে। কিন্তু শাশুড়িমা কিছুতেই আগে খেতে বসেন না। পরিপাটি করে থালায় ভাত বেড়ে, বাটিতে বাটিতে ডাল-তরকারি-মাছ দিয়ে রাত্রি আর শ্বশুরমশাইকে খেতে দেন।
সবার খাওয়া হয়ে গেলে, নিজে কিন্তু অবশিষ্ট ভাঙা মাছের টুকরোটি দিয়ে কাঁধা উঁচু মাছের ঝোলের থালাটিতেই ভাত নিয়ে খেতে বসেন। ঐ থালাতেই একপাশে তরকারি-ভাজা নিয়ে নেন। ডালের বাটি থেকে বাকি ডালটি প্রয়োজন হলে ঢেলে নেন। রাত্রি অনেকদিন বলেছে, তুমি এমন করে কেন খাচ্ছ মা? তুমি টেবিলে বসে খাও, আমি আলাদা থালাতে গুছিয়ে দিচ্ছি।
কিন্তু উনি শোনেন না। ওনার নাকি এটাই অভ্যাস হয়ে গেছে, এইভাবেই ওনার খেতে ভালো লাগে। খেতে খেতেই গল্প করেন, বিয়ে হয়ে আসার পর দেখেছেন সবাইকে একসঙ্গে থাকতে। গ্রামের বাড়িতে শ্বশুরমশাই, শাশুড়িমা, দুই ভাসুর, দুই জা, দুই ভাসুরের চারটি ছেলেমেয়ে এবং নিজের দীপঙ্করটিকে নিয়ে একান্নবর্তী পরিবার। গ্রামে জমি-জমা, কাপড়ের দোকান নিয়ে সুখী সংসার। নিজের স্বামী করতেন শিক্ষকতা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে। দুই বেলা সবাইকে খাবার বেড়ে দিয়ে, খাইয়ে তারপর তিন বউ আর শাশুড়িমা বসতেন খেতে। যা অবশিষ্ট থাকত তাই দিয়ে। একেক বউয়ের ভাগ্যে হয়তো জুটত ভাঙা মাছের একটা টুকরো অথবা এক টুকরো মাংস, এক চামচ ডাল। যতই পরিমাণে রাঁধা হোক, কম পড়েই যেত তিন বউয়ের ভাগ্যে। এভাবেই বিয়ের পর থেকে খেতে উনি অভ্যস্ত। রাত্রিকে বলতেন, এই নিয়মটা নাকি ওনার শাশুড়িমা জীবিত থাকাকালীন শুরু করিয়েছিলেন বউমাদের দিয়ে।
কিছুদিন পর নিভারণী দেবীর স্বামী কলকাতাতে ব্যাংকে চাকরি পেয়ে চলে আসেন। ছেলে দীপঙ্কর তখন অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। সেই সুযোগে শহরে আসার পর নিভারণী দেবী বি-এডটা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ফেলেন। শিক্ষকতার জীবন শুরু হয়ে যায়। ওনার স্বামী বিমলবাবুর সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণা না থাকলে অবশ্য এটা সম্ভব ছিল না। রাত্রি বিয়ের সময় দুই জেঠু, জেঠিমা, জেঠুদের তিন ছেলে এবং তাদের স্ত্রীকে দেখেছে। বড় জেঠুর মেয়ে লন্ডনে ডাক্তার স্বামীর সঙ্গে থাকে, আসতে পারেনি। নতুন বাবা বলেছেন, সামনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবেন। গ্রামে অবশ্য এখন জেঠু আর জেঠিমারাই থাকেন। ছেলেরা কেউ মুম্বাই, কেউ বেঙ্গালুরু।
রাত্রির খুব মন খারাপ হয়ে যায় শাশুড়িমায়ের কথা শুনে। ওনার বিয়ের পর থেকেই সবার খাওয়া হয়ে গেলে তবেই খেতে বসেন। কিন্তু অনেকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শাশুড়িমাকে রাত্রি রাজি করাতে পারেনি একসঙ্গে বসে খাওয়ার জন্য। আবার রাত্রির মনে একটা খটকাও লাগত, শাশুড়িমা এই ধনুক ভাঙা পণ কেন নিয়েছেন! কী রহস্য আছে এর পেছনে? আগে গ্রামের বাড়িতে এই নিয়মকানুন ছিল। কিন্তু এখন তো সবাই একসঙ্গে টেবিলে বসে খায়। সেটাতেই সবার আনন্দ। রাত্রি তখন নতুন বাবার দ্বারস্থ হয়। নতুন বাবা জানান, হয়তো ওনার মনের গহিনে কোনো সুপ্ত অভিমান আছে। হতে পারে সেটা নতুন বাবার ওপর। কারণ বিমলবাবু যে সে রকমভাবে কোনোদিন একসঙ্গে খাওয়ার জন্য জোর করেননি নিভারণী দেবীকে। ছেলেও বোধহয় বলেনি।

তিন.
আজ রবিবার। ছুটির দিন। দীপঙ্করও বাড়িতেই আছে আজ। গতকাল নতুন বাবাকে দিয়ে রাত্রি মাংস, ভেটকি মাছ আনিয়ে রেখেছে। খুব ভোর থাকতেই রাত্রি উঠে পড়েছে আজ। গতকালই কাজের মাসিকে দিয়ে ফুলকপি, আলু, পেঁয়াজ কাটিয়ে রেখেছিল। নিজেকে পরিষ্কার করে যখন রান্নাঘরে ঢুকতে যাবে, দেখে শাশুড়িমা উঠে পড়েছেন। এতদিনের অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে নিভারণী দেবী যেই রান্নাঘরে ঢুকতে গেছেন, রাত্রি এসে বাধা দেয়।
– আজকে মা তুমি রান্নাঘরে একদম ঢুকবে না। নতুন বাবার সঙ্গে গল্প করো, বই পড়ো, যা খুশি তাই করো, কিন্তু রান্নাঘরে একদম পা দেবে না।
অগত্যা নিভারণী দেবী একটু বিষাদ মনেই নিজের ঘরের দিকেই পা বাড়ান। বউমার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে যান না। এটা ওনার স্বভাববিরুদ্ধ। মনে মনে অবশ্য এও ভাবেন, বউমার একটু শখ হয়েছে রান্না করার। করুক। একটু পরেই গরমের তাতে এসে বলবে, মা- বাকিটা তুমি করো।
সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে রাত্রি সুন্দর করে কাচের প্লেটে, ছোট ছোট করে কাটা আলু আর ফুলকপির তরকারি কালো জিরে দিয়ে বানানো আর মুচমুচে গরম গরম পরোটা পরিবেশন করে। তারপর চা। সবাই হাসিমুখে তৃপ্তি করে খেয়ে রাত্রির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নিভারণী দেবী বলেন, ‘বউমা, খুব ভালো খেলাম। এবার তুমি আরাম করো। মুখ-চোখ আগুনের তাপে, গরমে একদম লাল হয়ে গেছে। তোমার অভ্যাস আছে নাকি! এবার আমি রান্নাঘরে ঢুকি।’
রাত্রি চোখ পাকিয়ে বলে, ‘একদম নয়, মা। সকালেই কথা হয়ে গিয়েছে আমার আর তোমার মধ্যে। আজ তোমার রান্নাঘর থেকে একদম ছুটি।’
নিভারণী দেবীর সময় আর কাটতে চায় না। গল্পের বইতেও মন বসাতে পারছেন না। বারবার রান্নাঘর পর্যন্ত গিয়ে আবার গুটিগুটি পায়ে বউমার ধমকের ভয়ে নিজের ঘরে ফেরত চলে আসছেন। গন্ধটা কিন্তু ভালোই বেরিয়েছে। বউমা রান্নাটা ভালোই করে বুঝতে পারছেন।
দুপুর একটায় রাত্রি সবাইকে খেতে ডাকে। ডাইনিং টেবিলে তিনটি থালায় কাজু, কিশমিশ, এলাচ দিয়ে বানানো মিষ্টি পোলাও, পাশে লম্বা লম্বা বেগুন ভাজা, একটি বাটিতে মাখামাখা মাংস, আর একটি বাটিতে সর্ষে-কাঁচালঙ্কা চিরে ভেটকি মাছের ঝাল।
– তিনটে থালা কেন? আমরা তো চারজন বউমা।
নিভারণী দেবীর প্রশ্নে রাত্রির জবাব, ‘আজ তোমাদের সবাইকে পরিবেশন করে খাইয়ে, তারপর আমি খাব। কাজের মাসিকেও বলেছি আজ এখানে খেয়ে নিতে। ও অনেক সাহায্য করেছে আজ।’
নিভারণী দেবীর অজান্তেই ওনার চোখ দুটো অশ্রæজলে সিক্ত হয়ে আসে। চেয়ারে বসেই বউমার কোমর জড়িয়ে বলেন,
– কতদিন পর আমার হারিয়ে যাওয়া মাকে আজ ফেরত পেলাম, বউমা। বিয়ের আগে মা থালায় এ রকম খাবার সব গুছিয়ে দিয়ে পাশে বসে খাওয়াত।
– আমিও যে আমার ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া মাকে এখানে এসেই পেয়েছি।
বিমলবাবু বলে ওঠেন, ‘বুঝলে বউমা, তুমি আজকে বোধহয় এই সংসারের মধ্যে যে একটা গুমোট আবহাওয়া সবার অজান্তে বইছিল সেটাকে দূর করে দিলে। ছোটবেলায় বাবা বলতেন, পূর্ব বাংলায় একটা কথার খুব প্রচলন ছিল- ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়