ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

শাহজালাল বিমানবন্দর : ১৪ কেজি স্বর্ণসহ ইউএস বাংলার বাসচালক আটক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১৪ কেজি স্বর্ণের বারসহ মো. হারুন অর রশীদ নামে এক বাসচালককে আটক করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস (ডিসিএইচ)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা চারটি প্যাকেট জব্দ করা হয়। প্যাকেট খুলে ১৩ কেজি ৯৯০ গ্রাম স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ডিসিএইচের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) শফিকুল ইসলাম রাসেল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিএস-৩৪৩) সকাল ৭টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এর মাধ্যমে আগত স্বর্ণের চোরাচালানটি ইউএস বাংলার মালিকানাধীন (যেসব পরিবহনের মাধ্যমে বিমানযাত্রীদের টার্মিনাল পর্যন্ত আনা নেয়া করা হয়) বাসে লুকিয়ে পার করা হবে। এমন খবরের ভিত্তিতে ডিসিএইচের টিম বিমানবন্দরের ২১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেয়। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিসিএইচের টিম বাস ও কারে ব্যাপক তল্লাশি চালায়।
একপর্যায়ে ইউএস বাংলার (ঢাকা মেট্রো-স-১২-০১১৩) নম্বর বাসের চালক মো. হারুন অর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্কচটেপে মোড়ানো চারটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের কাস্টমস আগমনী হলের ব্যাগেজ কাউন্টারে চারটি প্যাকেট খুলে ১১৬ গ্রাম ওজনের ১২০ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার ওজন ১৩ কেজি ৯৯০ গ্রাম। সংশ্লিষ্ট বাসটিতে অন্য কোনো ব্যক্তি ছিল না, তাই বাসচালক হারুন অর রশীদ কোনো সংঘবদ্ধ চোরাচালানচক্রের যোগসাজশে বারগুলো চোরাচালানের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ডিসিএইচ কর্তৃপক্ষ জানান, স্বর্ণের বারগুলো উত্তরার সৃজা জুয়েলার্সে কষ্টিপাথর দ্বারা প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। বারগুলো ২৪ ক্যারেটের। ইউএস বাংলার মালিকানাধীন বাসটি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জব্দ করা অন্যান্য আলামত বিমানবন্দর থানায় জমা দেয়া হয়। জানা গেছে, আটক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গাজীপুরের সদর থানার মুলাইদ গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকার তুরাগ থানার বাউনিয়াবাদ এলাকায় থাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়