ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

রাতের আঁধারে নদী থেকে বালু তোলার মহোৎসব : দৌলতপুর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর চরকাটারী বাঘুটিয়া ইউনিয়নে যমুনার শাখা নদী থেকে রাতের আঁধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বিক্রির মহোৎসবে মেতেছেন অসাধু ব?্যবসায়ীরা। রাতে কেটে রাতেই এসব বালু চলে যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের বসতভিটায়। অবৈধভাবে বালু তোলার ফলে নদী পাড়ের ফসলি জমি, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দৌলতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নই নদী ভাঙনকবলিত এলাকা। প্রতি বছরই ভাঙনের ফলে এসব এলাকার ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙন ঠেকাতে প্রতি বছরই বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে এভাবে বালু তোলার ফলে ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জিয়নপুর ইউনিয়নে যমুনার শাখা নদীর আবুডাংগা, জৈন্তা, রামচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। দিনের বেলায় বন্ধ থাকলেও বিকাল হওয়ার পর থেকেই চলে বালু কাটা।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, অনেক দিন ধরে ড্রেজার এখানে আনা হয়েছে। দিনের বেলায় বন্ধ থাকলেও বিকালের পর থেকেই ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা শুরু হয়। অবৈধভাবে এই ড্রেজিংয়ের ফলে এলাকায় ভাঙন আরো বাড়বে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবুডাঙ্গা গ্রামের এক কৃষক বলেন, অনেক দিন ধরে সন্ধ্যার পর ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। এর সঙ্গে জিয়নপুর, বাঘুটিয়া ও খলসীসহ ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৩০ জন ড্রেজার মালিক বালু তোলায় জড়িত রয়েছেন। এর মধ্যে জাকির নামের একজনের সঙ্গে বেশি জড়িত এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
পংতিরছা গ্রামের মো. সাগর আলী বলেন, এমনিতেই প্রতি বছর নদীতে বাড়িঘর ভাঙে। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের নদীপাড়ের মানুষের যে কি কষ্ট তা তো ড্রেজারওয়ালারা বুঝবে না।
যমুনার শাখা নদী জৈন্তার ড্রেজার মালিক আবুল হোসেন বলেন, আমার ড্রেজার এক মাস ধরে বন্ধ। আগে কিছুদিন বালু কেটেছি। এখন চালাই না অনেক দিন ধরে।
আবুডাংগা গ্রামের ড্রেজার মালিক মো. তোতা মিয়া বলেন, আমার ড্রেজার কয়েকদিন আগে ইউএনও ভেঙে দিয়েছেন। এখন আপাতত বন্ধ রয়েছে। আমি পাইপ পরিষ্কার করার জন্যে মেশিন চালু করেছি।
জাকির হোসেন বলেন, আগে চালিয়েছি এখন আর চালাই না।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবিদা সুলতানা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অবৈধ ড্রেজার চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। যমুনার শাখা নদীতে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি জানতাম না। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়