কাগজ প্রতিবেদক : মরণোত্তর দেহদান করেছিলেন ৬৯ বয়সি নন্দিতা বড়ুয়া। তারই কর্নিয়ায় চোখের আলো পেলেন দুজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যানাটমি বিভাগের পক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ নন্দিতা বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নন্দিতা বড়ুয়ার মৃত্যু হয় ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনিজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। কিডনি রোগ ছাড়াই এসএলই ও ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন।
রাজধানীর বাসাবোর বাসিন্দা নন্দিতা বড়ুয়ার দুই মেয়ে শাপলা বড়ুয়া ও সেঁজুতি বড়ুয়াও মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা কথা জানিয়েছেন। শাপলা বড়ুয়া ভোরের কাগজকে বলেন, মা দীর্ঘদিন কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি দেহদানের বিষয়ে বলে গিয়েছিলেন। তার কথা আমরা পালন করেছি।
নন্দিতা বড়ুয়ার দেহ গ্রহণের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন, অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লায়লা আনজুমান বানু, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ আলম, হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার (টিটো), কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শীষ রহমান, কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক রাজশ্রী দাস, অ্যানাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন আক্তার সুমি, নন্দিতা বড়ুয়ার দুই মেয়ে শাপলা বড়ুয়া ও সেঁজুতি বড়ুয়া, নন্দিতা বড়ুয়ার কর্নিয়াগ্রহীতা জান্নাতুল ফেরদৌস ও আবদুল আজিজসহ আরো অনেকে।
গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শীষ রহমান আবদুল আজিজের চোখে ও অপথালমোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজশ্রী দাস জান্নাতুল ফেরদৌসির চোখে নন্দিতা বড়ুয়ার একটি করে কর্নিয়া সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়।