ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

বিলের পানি ছেড়ে মাছ শিকার : মদনে ৫০০ একর বোরো ফসল নষ্টের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : জলাশয়ের পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ ধরছেন ইজারাদার। এতে প্রায় ৫০০ একর বোরো জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফসল রক্ষার পানির জন্য কৃষক এখন দিশেহারা। এ ব্যাপারে মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের কাতলা ও ত্রিপন গ্রামের ৬৫ জন কৃষক গত বুধবার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, এক ফসলি বোরো জমির উৎপাদিত ফসল দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন হাওড়াঞ্চলের কৃষকরা। কাতলা, ত্রিপন, মান্দুরা, ছত্রমপুরসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকের প্রায় ৫০০ একর জমির বোরো ফসল বোয়ালী বিলের পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ বছর মাঘান গ্রামের নতুন আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ইছু মিয়া বোয়ালী বিল ৬ বছরের জন্য ইজারা নেন। তার কাছ থেকে মাঘান গ্রামের আহাদুল ও কদশ্রী গ্রামের সৈকত সাব-ইজারা নিয়ে মাছ ধরার জন্য রাতের আঁধারে বিলের পানি নদীতে ছেড়ে দিয়েছেন।
এতে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক কৃষকের প্রায় ৫০০ একর জমির বোরো ফসল পানির অভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে গেলে দেখা যায়, বিলের এক পাশ দিয়ে গভীর ড্রেন করে পানি নদীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পানি শুকানোর সুবিধার্থে সরকারি পাকা রাস্তা কেটে দেয়া হয়েছে। এতে রাস্তাটিও ধসে গেছে। বর্তমানে ড্রেনের পানি আটকে কৃষকরা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।
কৃষক মঞ্জু শাহ, জাহের আলী, স¤্রাটসহ অনেকেই বলেন, মাছ ধরার জন্য বিলের পানি শুকিয়েছে আহাদুল ও সৈকত। আমরা দিনের বেলায় পাহারা দিলেও রাতে তারা পানি ছেড়ে দেয়। পানি আটকানোর চেষ্টা করায় আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পানির জন্য রোপণ করা জমি এখন নষ্ট হতে চলেছে। সময়মতো পানি না পেলে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
মাঘান ইউনিয়নের উপসহকারী
ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মির্জা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গভীর ড্রেন খনন করে বিলের পানি নদীতে ছাড়া হয়েছে। পানির জন্য বোরো ফসলের সমস্যাসহ সরকারি পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।
বিলের সাব-ইজারাদার আহাদুল মিয়া ও শওকত মিয়া জানান, কৃষকরা তাদের সুবিধামতো ড্রেন করে পানি নিচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনূর আলম বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে ইজারা বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়