ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন : সহকারী অধ্যাপক জনির বিচার না হলে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নুর হাছান নাঈম, জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত ও তদন্ত কমিটির পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া তদন্ত প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও সঠিক না হলে সিন্ডিকেট সভার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাওয়ের হুমকি দেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন। এ সময় বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির কর্মকাণ্ড তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেখানে অভিযুক্তের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শিক্ষকদের নামও ছিল।
তদন্ত কমিটি ভুক্তভোগীদের সশরীরে আহ্বান না করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের বক্তব্য আমলে না নিয়ে, সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসংখ্য প্রমাণ আমলে না নিয়ে তড়িঘড়ি করে তদন্ত সম্পন্ন করেছে। তদন্ত চলাকালে অভিযুক্তের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও শিক্ষক লাউঞ্জে আড্ডা দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা পক্ষপাতদুষ্টতা স্পষ্ট করেছে। এছাড়া গত ২৪ নভেম্বর প্রোক্টর অফিসে একজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জোরপূর্বক দায়মুক্তিপত্র লিখিয়ে নেয়া হয়েছে। এই প্রহসনমূলক তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন, তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং ভুক্তভোগীকে দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে দায়মুক্তিপত্র লেখানোয় প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অব্যাহতি প্রদান করা হোক।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, শিক্ষক জনির কর্মকাণ্ডের প্রভাব ছড়িয়েছে দেশব্যাপী। তার কর্মকাণ্ডের ঘটনা জেনে অনেক অভিভাবক তার সন্তানদের ক্যাম্পাসে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। তার কর্মকাণ্ডের সঠিক বিচার না হলে ক্যাম্পাসে অন্যায় করতে আরো অনেকে সাহস পাবে।
আমরা অবিলম্বে তার উপযুক্ত বিচার চাই। নয়ত আমরা আবার বিচারের দাবিতে মাঠে নামতে বাধ্য হবো।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, আমরা সবসময় আন্দোলনে নামতে চাই না।
কিন্তু কমিটির পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদের নামতে বাধ্য করছে। আমরা চেয়েছিলাম নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার হোক।
যা সব অন্যায়কারীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। অভিযুক্ত যে কাজ করেছেন তা কখনই মেনে নেয়ার নয়। আমাদের দাবি না মানলে আমরা অচিরেই বড় আন্দোলনে নামব।
আনিছা পারভীন বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্য প্রমাণাদি তদন্ত কমিটির কাছে সরবরাহ করার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেছি।
কিন্তু পক্ষপাতদুষ্ট কমিটি আমাদের সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া দুয়েকটি নিউজ কাটিং দেখে তাকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সঠিক বিচার না হলে আমরা রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও করবো।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ প্রীতমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়