ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

চাহিদার চেয়ে এলসি বেশি : রোজায় ব্যবহৃত পণ্য

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রোজায় ব্যবহৃত ৫ পণ্যের জন্য প্রয়োজনের বেশি এলসি খোলা হয়েছে। পণ্যগুলো হলো- চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুর। জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পণ্যের ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৫ টনের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। এসব পণ্য রমজানের আগেই দেশে পৌঁছে যাবে। রোজায় এসব পণ্যের কোনো সমস্যা হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক সায়িদা খানম।
সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র বলেন, বুধবার পর্যন্ত এসব পণ্যের মধ্যে চিনির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৯৩ টন। ভোজ্যতেলের এলসি খোলা হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৬০ টন। তিনি বলেন,

পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে, ৪২ হাজার ৫৬৩ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ৩৬ হাজার ২২৬ টন। ডালের এলসি খোলা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৭ টন, গত বছরের একই সময়ে খোলা হয়েছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ টন। খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮২ টন, গত বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৯৮ টন। এসব পণ্য সঠিক সরবরাহে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করছে। বাধাহীনভাবে বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বেড়েছে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পুরনো আমদানি ব্যয় নির্বাহ করতে এখনো ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ঘাটতি থাকলেও শিগগিরই এ ঘাটতি থাকবে না। এতে ডলারের সংকট দূর হবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি কখন নিয়ন্ত্রণে আসবে তা বলা যাবে না।
কিছু ব্যবসায়ী রোজায় ব্যবহৃত পণ্য আমদানি করতে এলসি খুলতে পারছে না, ব্যাংক এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না- বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রমজানে তেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরের চাহিদা বেশি থাকায় এসব পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে বলে জানান মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতেও আমরা বিশেষ নজর রেখেছি। গত নভেম্বর মাস থেকে প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময় যা ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি মিলিয়ে গত ৭ মাসে ৪৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে বলে জানান মেজবাউল হক। তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা পুরোটা হাতে এসে পৌঁছেনি। কারণ পণ্য রপ্তানি করার পর টাকা পরিশোধের জন্য ১২০ দিন সময় পেয়ে থাকেন বিদেশি আমদানিকারকরা। এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা পরিবর্তনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই হঠাৎ কোনো নীতিমালায় পরিবর্তন আনা যায় না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড ও বৈশ্বিক ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বগতি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। ফলে আমরা ধীরে ধীরে সংস্কারের দিকে হাঁটছি। সংস্কারের অংশ হিসেবে ভোক্তা ঋণের সুদহার ৯ থেকে ১২ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। অন্যান্য সুদহার পরিবর্তনের বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়