ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

খাদ্যে ভেজাল রোধে হটলাইন উদ্বোধন : অভিযোগের পাশাপাশি পাঠানো যাবে ছবিও

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট কেউ খাদ্যে ভেজাল মেশালে এবং কারো চোখে তা ধরা পড়লে সহজেই কল করে অভিযোগ করা যাবে। কারো কাছে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর ছবি কিংবা ভিডিও থাকলে তা-ও পাঠানো যাবে। শুধু তাই নয়; জানা যাবে কোন খাদ্য কীভাবে নিরাপদ রাখা সম্ভব এবং খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করতে কোথায় কিংবা কোন ল্যাবে পরীক্ষা করা যাবে। সম্পূর্ণ টোল ফ্রি এমন একটি হটলাইন সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। হটলাইন নম্বরটি হলো- ১৬১৫৫।
গতকাল বৃহস্পতিবার হটলাইন সেবার নাম্বার উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। হটলাইন সেবা চালু থাকবে সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর নিউ ইস্কাটন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটরিয়ামে মন্ত্রী হটলাইনে কল করে কথা বলেন এবং বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এরপর প্রধান অতিথি হিসেবে এই সেবা উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সভাপতি মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সনজয় দাভে। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগামী প্রজন্মই স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করবে। তাই আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতেই হবে। যারা খাদ্য উৎপাদন করে, যারা প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে রয়েছে, খাদ্য নিরাপদ রাখতে তাদের আগে সচেতন হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি প্রতিবাদী হতে হবে। এক্ষেত্রে আগে নিজে ঠিক হতে হবে, তারপর পরিবার ঠিক করতে হবে, এরপর এই আন্দোলন দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। নিজেদের মনে আগে আস্থা আনতে হবে। এরপর মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। মানসম্মত খাবার উৎপাদন/তৈরির নামে চড়া দাম নিলে মানুষ তা কিনতে পারবে না। সেক্ষেত্রে খাবার মানসম্মতও হতে হবে এবং সেটি মানুষ যাতে সস্তায় কিনতে পারে সেদিকও খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মধ্যম ও উচ্চশ্রেণির লোকজন দামি খাবার খেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ তেমন দামি খাবার খেতেও পারেন না, তাই তারা আক্রান্তও কম হচ্ছেন। খাদ্যে যারা ভেজাল দেয়, আগে সেখান থেকে ভেজাল রোধ করতে হবে। জেনেশুনে কেউ যদি খাবার অনিরাপদ করে, ভোক্তাকে ঠকানো ও অধিক ব্যবসার আশায় ভেজাল মেশায় তাহলে বলব সে জ্ঞানপাপী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, যে খাদ্য নিরাপদ নয়, সেটি খাদ্য নয়। স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট দেশ গড়তে হলে নিরাপদ খাদ্যকে মেজর তালিকায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি উপজেলায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল রয়েছে। আমরা কিছু গাইডলাইন জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তবে তার আগে আমাদের কোনো ইন্টারনাল সমস্যা থাকলে সেটিও ঠিক করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, আমাদের পরবর্তীতে প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণ পর্যন্ত কীভাবে খাদ্য নিরাপদ রাখা যায়, এ রকম একটি নির্দেশিকা বই এ বছরের মধ্যে ১০ লাখ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। যাতে তারা খাদ্য নিরাপদ রাখতে সচেতন হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়