ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

এবার উৎসবমুখর হোক বইমেলা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩ শুরু হয়েছে। গত বুধবার বিকাল ৩টায় মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত দুই বছরের তুলনায় এবারের বইমেলা অনেকটাই ভিন্ন। করোনা মহামারির জন্য গত দুই বছর মেলা নির্দিষ্ট সময়ে হতে পারেনি। এ বছর মাসজুড়ে চলবে মেলা। ১৯৫২ সালের এই মাসে মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল বাঙালি। সেই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনা এবং পরিণতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। ফেব্রুয়ারি তাই আমাদের জাতীয় চেতনার উন্মেষের স্মারক একটি মাস। এই মাসটি এলে আমরা অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হই, ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি আবেগে আপ্লুত হই এবং অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, উদার চেতনায় নতুন করে উজ্জীবিত হই। এ মাসে নানা উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে আমরা তা ফুটিয়ে তোলারও চেষ্টা করি। ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের তেমনি একটি জাতীয় কৃত্যের অংশ হয়ে গেছে। বলা যায়, বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের চাঞ্চল্য অনেকটাই একুশে গ্রন্থমেলাকেন্দ্রিক। যদিও এবার ফেব্রুয়ারির মাঝপথে মেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলাকালে বাংলা একাডেমি ও তৎসংলগ্ন মেলা প্রাঙ্গণ থাকবে পাঠক-লেখক, ক্রেতা-দর্শক নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের পদচারণায় মুখর। এ বছর মেলায় অংশ নিচ্ছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান। এ সংখ্যা গত বছর ছিল ৫৩৪। এ বছর আঙ্গিক ও বিন্যাসেও পরিবর্তন এসেছে, বেড়েছে নতুন প্রকাশক এবং স্টলের সংখ্যা। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৫। এবার প্যাভিলিয়ন হচ্ছে ৩৮টি। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দিকের বইয়ের স্টল চলে আসছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠে। এতে বিন্যাস কিছুটা বদলেছে। এবার জ্যামিতিকভাবে স্টলের বিন্যাস করা হয়েছে। সম্প্রতি কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বইয়ের মূল্য কিছুটা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। কিন্তু এতে বই প্রকাশ কম হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে স্টল বরাদ্দের হিসাবে। তবে উদ্বেগের ব্যাপার যে, একুশে গ্রন্থমেলায় প্রতি বছরই নতুন বই আসার হার বাড়ছে, কিন্তু মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা তেমন বাড়ছে না। যেনতেনভাবে নতুন বই মেলায় আনার প্রবণতায় মানহীন, তথ্য ও মুদ্রণত্রæটিযুক্ত বইয়ে বাজার ভরে যাচ্ছে। তাই মেলাকেন্দ্রিকতা থেকে বের হয়ে বছরজুড়ে নতুন বই প্রকাশ অব্যাহত রাখলে লেখক-প্রকাশকরা মেলার সময়ের বাড়তি চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন এবং প্রকাশনার প্রতি যথাযথ মনোযোগী ও যতœশীল হওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি অমর একুশে গ্রন্থমেলা চলাকালীন সংলগ্ন এলাকায় কোনো রকম নিরাপত্তা ঘাটতি ও ব্যবস্থাপনাজনিত দুর্বলতা যাতে না থাকে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। শুধু পর্যাপ্ত র‌্যাব-পুলিশ মোতায়েনই যথেষ্ট নয়, তাদের সার্বক্ষণিক ও ত্বরিত তৎপরতা নিশ্চিত করতে হবে। থাকতে হবে মেলায় আগতদের সচেতনতা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় অবস্থান করতে হবে। লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক থাকবে- উৎসবমুখর হবে বইমেলা, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়