ক্রোয়েশিয়া : ক্রিমিয়া কখনোই আর ইউক্রেনের অংশ হবে না

আগের সংবাদ

পাতালরেল যুগে বাংলাদেশ : ১০০ সেকেন্ড পর পর ট্রেন, ভূগর্ভে হবে ১২টি তিনতলা স্টেশন

পরের সংবাদ

জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সখ্য : আ.লীগ নেতা রফিকুলকে বহিষ্কারের দাবি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : তালায় জামায়াত-বিএনপির নাশকতা মামলার আসামিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। দলের বিভিন্ন নেতা তাকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
গত ২৯ জানুয়ারি সকালে তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার মেল্লেকবাড়ী নামক স্থান থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম উপজেলার রাঢ়িপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলাম মোড়লের ছেলে ও কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি সকালে নাশকতা মামলার আসামিদের জামিন করানোর জন্য আদালতে হাজির হন রফিকুল ইসলাম। ওই সময় একজন উৎসুক ব্যক্তি একটি ভিডিও করেন। ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে আদালতে আসামিদের সঙ্গে গভীর সখ্য দেখা যায় রফিকুলের।
কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতা পাওয়ার পরে রফিকুল বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বর্তমানে কুমিরা এলাকায় জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে এলাকার লোকজনকে জিম্মি করে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত হতে হয়েছে বলে জানান ওই আওয়ামী লীগ নেতা। এক সময় টালির ঘর ছিল রফিকুলের। বর্তমানে তিনি তিনতলা বাড়ির মালিক। তার এই অপকর্ম বন্ধসহ দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
কুমিরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান মিঠু বলেন, কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দলীয় পদে থেকে জামায়াত-বিএনপির দোসর হয়ে কাজ করেন। এছাড়া তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাসহ নিয়োগ বাণিজ্য করে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। এসব অবৈধ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
কুমিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে জামায়াত-বিএনপির দোসর হয়ে দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যেদিকে অবৈধ টাকার গন্ধ সেদিকে ছুটে যান রফিকুল। টাকার জন্য এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করেন না রফিকুল। এছাড়া তার রিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয়ের সংস্কারের বরাদ্দ আত্মসাৎসহ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনো নাশকতা মামলার আসামিদের পক্ষে নন। তবে সেদিন ব্যক্তিগত কাজে এড. তপনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আসামিদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তাকে নিয়ে মিথ্যাচারসহ রাজনৈতিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে এমন দাবি তার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়