ক্রোয়েশিয়া : ক্রিমিয়া কখনোই আর ইউক্রেনের অংশ হবে না

আগের সংবাদ

পাতালরেল যুগে বাংলাদেশ : ১০০ সেকেন্ড পর পর ট্রেন, ভূগর্ভে হবে ১২টি তিনতলা স্টেশন

পরের সংবাদ

কক্সবাজার রেলপথ : পর্যটনে নতুন দিগন্ত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করতে কোনো দিকেই কমতি নেই এই দেশে। গ্রাম থেকে শহর, লোকালয় থেকে অরণ্য সবখানেই প্রকৃতি সাজিয়েছে তার নিজস্বতা দিয়ে। দিনে দিনে আমরাও বেশ ভ্রমণপ্রিয় হয়ে উঠছি। আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তনে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্প। আমাদের দেশে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। যেটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ এই সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে বহুগুণে। সময়ের পালাবদলে আমাদের পর্যটন খাত পুনরুজ্জীবিত হতে চলেছে। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে সরাসরি লাল-সবুজের নতুন পর্যটন ট্রেন চালু হচ্ছে। ১৩০ কিমি গতিতে ছুটবে নতুন লাইনে এই ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে এই রুটে পর্যটক বাড়াতে এ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। নতুন এ রুটে দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল শুরু হলে একদিকে যেমন রেলে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন তেমনি পর্যটন শিল্পের প্রসারেও এটি ভূমিকা রাখবে অধিকতর।
পর্যটনে এখন উপযুক্ত মৌসুম। নানান অব্যবস্থপনা আর নিরাপত্তাহীনতায় একটি সময় সুনীল জলরাশির এই আধারে ভাটা পড়লেও তা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার দিকে তাকিয়ে, সৈকতের পরিবেশ আরো বেশি সুন্দর করে সাজাতে ২০১৬ সালে গঠিত হয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তাদের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তনে বেশকিছু অগ্রগতি দেখা গেছে এ পর্যটন কেন্দ্রে। তারা আরো বলছে, আগামী ৫ বছরে ইতোমধ্যে যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করে কক্সবাজারকে সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মতো নান্দনিক রূপ দেয়া হবে। এর ফলে একদিকে যেমন বহির্বিশ্বে পরিচিত হবে এ দেশ তেমনি সরকারের রাজস্ব বাড়বে এ খাত থেকে। তাই বিদেশি পর্যটকদের আশায় না বসে দেশি পর্যটকদেরও সুযোগ-সুবিধার দিকে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। তাহলে দ্রুতই এ খাতে অগ্রগতি আসবে। অপরদিকে, সৈকতে নিরাপত্তাবলয় আরো বেশি সুদৃঢ় করতে হবে। পাশাপাশি হোটেল ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, খাবারের দাম খেয়াল-খুশিমতো নেয়ারও অভিযোগ ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো মনিটরিং করা হয় না কিংবা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আসে না দুষ্কৃতকারীরা। এগুলোর বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ রেখে কাজ করে যেতে পারলে দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আসা-যাওয়া বাড়বে। গড়ে উঠবে আবাসন, যোগাযোগ ও বিপণন ব্যবস্থা। সরকারি রাজস্ব বাড়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে আমাদের পর্যটন শিল্প।

রিয়াদ হোসেন : শিক্ষার্থী, সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়