কেরানীগঞ্জের দগ্ধ সেই গৃহবধূর মৃত্যু

আগের সংবাদ

অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে : অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

মানবতাবিরোধী অপরাধ : নাম পাল্টে গা-ঢাকা দেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আদিল ও মুকুল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ২০১৫ সালে একটি মামলা হয়। এই মামলা হওয়ার খবর শুনেই গা-ঢাকা দেন আসামি নকিব হোসেন আদিল সরকার (৬৯) ও মোখলেছুর রহমান মুকুল (৬৭)। কেউ যেন চিনতে না পারে, সেজন্য পাল্টে ফেলেন নিজেদের নাম। কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করতেন বাসা। এমনকি তারা জনসমাগম, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তাদের ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশ পায় এমন স্থান এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। রাজধানীর দক্ষিণখান ও আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী নদী পারাপারে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা জুন-জুলাইয়ের দিকে ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগিতার কারণে ইউনুছ আলীকে রাজাকারদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে টর্চার সেলে নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট সকালে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় উভয়ের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের তদন্ত শেষে নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন রায়ের আগেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। গত ২৩ জানুয়ারি নকিব ও মোখলেছুরসহ ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারির ধারাবাহিকতায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়