কাগজ প্রতিবেদক : সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ কবিতা থেকে শুরু করে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য পাঁয়তারা করেছিল। তার বিপরীতে ১৯৮৭ সালে ‘শৃঙ্খল মুক্তির বিরুদ্ধে কবিতা’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে সেই যে অদম্য কবিতাযাত্রা শুরু, কালের পরিক্রমায় দেশের নানা সংগ্রাম-সংকট, সা¤প্রদায়িকতা আর মৌলবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াইয়ের এই উৎসব সাড়ে তিন দশক অতিক্রম করেছে। ছড়িয়ে গেছে বাংলা থেকে বিশ্ব।
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর দুদিনের এ বর্ণিল উৎসবের পর্দা উঠছে আজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’ স্লোগানে আয়োজিত ৩৫তম এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত।
উৎসবে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ঘিরে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আয়োজন জমে উঠবে। এ ছাড়া দেশের বাইরে ভারত, নেপাল, দুবাই ও মালদ্বীপসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কবিরা অংশ নেবেন।
আয়োজকরা জানান, উৎসবে দেশি-বিদেশি প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি কবিতাপ্রেমীর সমাগম ঘটবে। এরই মধ্যে সারাদেশ থেকে তিনশর বেশি কবি কবিতা পাঠের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।
উৎসবে ২০২০ সালে ৩৪তম জাতীয় কবিতা উৎসবে ঘোষিত জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২১ কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদার হাতে তুলে দেয়া হবে উৎসবের সমাপনী দিন বিকাল সাড়ে ৫টায়। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২৩-এর নাম ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।