কেরানীগঞ্জের দগ্ধ সেই গৃহবধূর মৃত্যু

আগের সংবাদ

অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে : অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন কাল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আয় করেছে। এই সময় ৩ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে। মেট্রোরেল সাড়ে ৩ মিনিট পর পর চলাচল করলেও পাতাল মেট্রোরেল চালু হলে প্রতিটি ট্রেন ১০০ সেকেন্ড পর পর চলাচল করবে। মাটির নিচে তিনতলা স্টেশন নির্মাণ করা হবে। নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল রেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এসব তথ্য জানান। এম এ এন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। পাতাল রেল চালু হলে ১০০ সেকেন্ড পর পর প্রতিটি ট্রেন চলাচল করবে। এটি আর কমানোর সুযোগ নেই। রাজধানীর জনসংখ্যার হিসাব এবং বাস্তবতার নিরিখে এই সময় নির্ধারণ করা হবে। মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ সাড়ে ৩ মিনিট পর পর চলছে। ৬টি কোচ দিয়ে শুরু হলেও মেট্রোরেলে আরো ২টি কোচ যুক্ত করা হবে। এই ৮টি কোচ দিয়ে চলবে মেট্রোরেল, এখন আর কোচ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেট্রোরেল ৮টি কোচ দিয়ে শুরু করে। এখানেও আমরা ৮টি কোচ দিয়ে করব। ইতোমধ্যেই মেট্রোরেল থেকে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে এবং ৩ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে।
ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পাতাল রেলের স্টেশনগুলো ‘ওপেন কাট’ পদ্ধতিতে করা হবে। এমআরটি লাইন-৬ এর সবগুলো স্টেশন রাস্তার ওপরে নির্মাণ করা হয়েছে। মাটির ওপরে তিনতলা ভবন হয়েছে। অন্যদিকে পাতাল রেলের অর্থাৎ এমআরটি লাইন-১ এর স্টেশনগুলো রাস্তা নিচে ভূগর্ভে হবে। অথাৎ মাটির নিচে তিনতলা স্টেশন হবে। জনসাধারণের যেন ভোগান্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। প্রথমে রাস্তার অর্ধেক অংশ খনন করে সব যন্ত্রপাতি নিচে নামানো হবে এবং যানবাহন চলাচলের জন্য খনন করা স্থানে স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে। ওই স্টিলের পাতের ওপর দিয়ে ৪০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ি চলাচল করতে পারবে। প্রথম অংশ খুলে দেয়ার পর রাস্তার অপর অংশ খনন করে একইভাবে যন্ত্রপাতি নামিয়ে কাজ শুরু করব। এই কাজের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগবে। এই পদ্ধতিতে কাজ করলে মাটির নিচে যে কাজ চলতে থাকবে তা আর ওপর থেকে অনুমান করা যাবে না। এমনকি টিভিএম মেশিন দিয়ে টানেল কাটার সময়েও ওপর থেকে বোঝা যাবে না এবং কোনো প্রভাবও পড়বে না।
তিনি আরো বলেন, পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের জন্য এরই মধ্যে ৯২ দশমিক ৯৭২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকা এই অর্থের যোগান দেবে। রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮ দশমিক ৭১ একর জমিতে পাতাল রেলের ডিপো নির্মাণ করা হবে। এই জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রোরেল এই ডিপো ব্যবহার করতে পারবে। ডিপো নির্মাণের মধ্য দিয়ে পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এমআরটি-১ পাতাল ও উড়াল দুই অংশে নির্মিত হবে। দুটি অংশের মূল ডিপো নির্মাণের কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতোমধ্যেই চুক্তি সই হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়