কেরানীগঞ্জের দগ্ধ সেই গৃহবধূর মৃত্যু

আগের সংবাদ

অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে : অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে লেনদেনের ভারসাম্যে : ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মানীয় ফেলো, সিপিডি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা মহামারির ধাক্কা আমরা মোকাবিলা করেছি। এরপর চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা। এই সময়ে আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে, যা স্বস্তির খবর বলে জানিয়েছেন গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, অর্থের অঙ্কে এ ঋণ তেমন বড় কিছু নয়। এ অর্থ দিয়ে আমাদের সব সমস্যা মিটবে না। এমনকি সব অর্থও আমরা একসঙ্গে পাব না, তবে এ ঋণ বাংলাদেশের লেনদেনের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আইএমএফের ঋণ দেয়ার বিষয়ে সম্মত হওয়ার খবরের একধরনের বার্তা আছে। এটি বহুপক্ষীয় অন্য সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করবে। আইএমএফ ঋণ অনুমোদন দেয়ায় অন্য দাতা সংস্থাগুলোও ঋণ দিতে আগ্রহী হবে। বাজেট সহায়তাও রিজার্ভে যোগ হয়, সেদিক থেকে এর গুরুত্ব আছে। তবে যে জায়গাগুলোতে দুর্বলতার কারণে এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই সেসব জায়গায় সংস্কার করতে হবে।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১২ সালের মতো এবারো আইএমএফ অনেক পরামর্শ দিয়েছে। ঋণখেলাপি, কর খেলাপি, অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় আহরণ শক্তিশালী করা, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে- এসব পরামর্শ আইএমএফ দিয়েছে বলেই না, আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিবিদরা, সিপিডি দীর্ঘদিন থেকেই এসব বিষয়ে সংস্কার করার কথা বলে আসছি।
তিনি বলেন, সংস্কার করে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে পারলে আমাদেরই লাভ। এসব করা গেলে আমাদের খেলাপি ঋণ কমবে বা রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত বাড়বে। আমি মনে করি, আইএমএফের সঙ্গে আমাদের ঋণ আলোচনায় যেসব বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলো আমাদের নিজেদের গরজেই করা উচিত। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য এটি জরুরি।
আইএমএফের আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল মুদ্রার বিনিময় হার বাজারমুখী করা। এটা নতুন কিছু নয়, দেশের অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই এসব বলে আসছেন। এসব কিছু শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা জরুরি। আইএমএফ ভর্তুকি হ্রাসের কথা বলেছে। সেটা একেবারে অপ্রাসঙ্গিক, তা বলব না। তবে কোন খাতে আমরা সমন্বয় করব, তা আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে না পড়ে, তা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের করতে হবে।
তিনি বলেন, অর্থ কিস্তিতে আসবে। প্রথম কিস্তির পর দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ যখন আসবে, তখন কিন্তু মূল্যায়ন হবে, আমরা কতটা সংস্কার করতে পেরেছি। তার ভিত্তিতে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ আসবে। সুতরাং আমাদের অর্থনীতির দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা এসব সার্বক্ষণিক আমাদের ভাবনায় থাকতে হবে।
সরকার বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ফলে অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে সংস্কার কর্মসূচি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়