শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

সেমিনারে বক্তারা : আনন্দময় শৈশব নিশ্চিতে পরিকল্পিত নগরায়ণ জরুরি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ‘সবুজের সমারোহে, আনন্দময় শৈশব চাই’ শীর্ষক পরিবেশবিষয়ক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, শিশুদের শিশুর মতো বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। শিশুর আনন্দময় শৈশব নিশ্চিত করতে হলে নগরের প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি উদ্বেগমুক্ত পারিবারিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, শিশুর শুধু বিনোদন নিশ্চিত করলে হবে না। সে কোথায় খেলছে, কোথায় সংস্কৃতি চর্চা করছে সেই পরিবেশটাও গুরুত্বপূর্ণ। অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে শিশুদের ছেড়ে দেয়া যাবে না। এজন্য পরিকল্পিত নগরায়ণ জরুরি। বক্তারা নগরীর সর্বস্তরের শিশুদের জন্য বসবাস উপযোগী পরিকল্পিত নগরব্যবস্থার দাবি জানান।
জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির পাঠাগার-বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিভাগের উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ কে বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে অংশ নেন- খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নাট্যজন মুনির হেলাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মতিন, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ উদ্দিন আহমেদ। খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরের পাঠাগার-বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান গোপাল কৃষ্ণ লালার সভাপতিত্বে এবং আহ্বায়ক শরণ বড়–য়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র ঘোষ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বসু। বক্তারা বলেন, স্কুল চলাকালীন প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা শিশুদের সংস্কৃতি চর্চা এবং খেলাধুলার জন্য ছেড়ে দেয়া উচিত। সারা বিশ্বের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রাক-প্রাথমিক পাঠ্যক্রমে সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলা ছাড়া আর কিছু নেই। কবিতা ও ছড়া পড়া, নাচ-গানের চর্চা এবং খেলাধুলা দিয়েই শিশুর মানসিক, শারীরিক, সামাজিক বিকাশ ঘটানো সম্ভব। বিশ্বব্যাপী এখন প্রাক-প্রাথমিক সময়ে একাডেমিক শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়ার পক্ষে জনমত গড়ে উঠছে। খেলাঘরও এই দাবির পক্ষে একমত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়