শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

সিলেট স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সবচেয়ে নান্দনিক স্টেডিয়াম হিসেবে বিবেচিত হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০০৭ সালে নির্মিত এ স্টেডিয়ামে ২২০০০ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারেন। ৬১৫ ফুঠ দৈর্ঘ্য ৪৮৫ ফুট প্রস্থ নিয়ে এই ক্রিকেট মাঠটি দেশের অন্যতম বড় একটি মাঠ। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঠ হিসেবে এই স্টেডিয়ামকেও নির্বাচন করেছিল বিসিবি। তবে এখন আর আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত হয় না এ স্টেডিয়াম। এ নিয়ে হতাশ বিসিবি পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
গতকাল (২৭ জানুয়ারি) থেকে সিলেটের এ মাঠটিতে চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা। বিপিএলের উন্মাদনায় প্রায় পরিপূর্ণ ছিল স্টেডিয়ামে। তবে এ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কম ম্যাচ এ মাঠেই হবে। সিলেট শহরের বাইরে আগে ভালো মানের হোটেল থাকলেও শহরের দিকে ভালো কোনো হোটেল ছিল না। তাই সিলেটে ভালো কোনো টুর্নামেন্টের ম্যাচ বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ছিল। তবে সিলেট বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে অনেক ভালো হোটেল নির্মিত হয়েছে।
আগের সীমাবদ্ধতাগুলো এখন আর নেই। তারপরও সিলেটে অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে নান্দনিক স্টেডিয়ামকে কোনো ভালো ম্যাচের ভেন্যু করা হয় না। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে কোনো সীমাবদ্ধতা না থাকার পরও সর্বশেষ ভারত সিরিজের কোনো ম্যাচ পায়নি সিলেট। কোনো ম্যাচ নেই মার্চে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরেও। সর্বশেষ ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আগামী মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে অপেক্ষা শেষ হবে সিলেটবাসীর।
বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, ‘সিলেটে তো শুধু বিপিএল নয়, যে কোনো ক্রিকেটের আসর যখন বসে, দর্শকে মাঠ ভরপুর থাকে। এই ভেন্যু সুযোগ-সুবিধা, সৌন্দর্য সবকিছু নিয়ে যে জায়গায় এসেছে, আগামী দিনে আরো টুর্নামেন্ট পাব, সেই প্রত্যাশা সবসময়ই করি। আবার আশাহতও হই। ইংল্যান্ড ট্যুরটি আমরা পাইনি। আয়ারল্যান্ড সফর এখানে হবে।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘আবাসনসহ আমাদের অনুশীলন সুযোগ-সুবিধা, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। সেগুলো অতিক্রম করে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি। আমি আশা করি, আগামী দিনে যারা এই খেলাগুলোর সময়সূচি নির্ধারণ করবেন, ভেন্যু নির্ধারণ করবেন, তারা আরেকটু সদয় হবেন। আরেকটু সুবিবেচক হয়ে তারা সিলেটের দর্শকদের এবং আপনাদের চাহিদা পূরণ করতে এগিয়ে আসবেন।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়