প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
সাকিব আল হাসান নাহিদ, মেলান্দহ (জামালপুর) থেকে : ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার জনজীবন। সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলে না। এরই মধ্যে কোল্ড ইনজুরিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বোরো চারাগুলো ফ্যাকাশে হয়ে পড়ছে। এতে বোরো বীজতলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বোরোর বীজতলায় কোথাও হলুদ, কোথাও লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। অনেক জায়গায় গাছ বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত বীজতলা সেরে উঠবে। উপজেলার পশ্চিম ঝাউগড়া গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, কয়েক দিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো চারার গোড়ায় পচন ধরে শুকিয়ে যাচ্ছে। কামদেববাড়ি গ্রামের এক কৃষক জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলায় ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের নাফিস উদ্দিন জানান, নিয়ম মেনে বীজতলায় সন্ধ্যায় বাড়তি পানি দিয়ে সকালে বের করে দিচ্ছেন। এতেও ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আর কয়েক দিন শীত ও কুয়াশার তীব্রতা অপরিবর্তিত থাকলে অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২০ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ বপন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ‘কিছু বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বীজতলা রক্ষার্থে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের ছত্রাকনাশক স্প্রে বা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেয়াসহ কিছু ভিটামিন স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি বপন করা বীজতলা দিয়েই চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।