শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

মেলবোর্নে সানিয়ার অশ্রæসিক্ত বিদায়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে গতকাল ব্রাজিলের লুইসা স্তেফানি-রাফায়েল মাতোস জুটির কাছে সরাসরি ৭-৬ (৭-২), ৬-২ সেটে হেরে রানার্সআপ হয়েছেন ভারতের সানিয়া মির্জা-রোহান বোপান্না জুটি।
সানিয়া আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হবে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম। তবে শেষটা সুখকর হলো না তার। অশ্রæশিক্ত নয়নে বিদায় নেন তিনি। মেলবোর্ন পার্কেই শুরু হয়েছিল সানিয়ার পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ার। আর গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারে তিনি নিজের শেষ ম্যাচটাও খেললেন মেলবোর্নেই। ফাইনাল জিততে পারলে বিদায়টা হয়তো আরেকটু অন্যরকম হতো। প্রথম সেটে দুই জুটি লড়াই করলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে সেখানে জিততে পারেনি সানিয়া-বোপান্না জুটি। আর দ্বিতীয় সেটে তেমন কোনো লড়াই করতে পারেননি তারা। সানিয়াকে রাজসিকভাবেই বিদায় দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরুর আগে পুরো রড লেভার অ্যারেনা হর্ষধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে। বিদায়ী বার্তায় সানিয়া আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কান্না করেন। তিনি বলেন, ‘এটা কষ্টের নয়, আনন্দের কান্না। এই মুহূর্তটা আমি ব্রাজিলের জুটির থেকে কেড়ে নিতে চাই না। তোমরা দারুণ খেলেছ।’
পেশাদারি ক্যারিয়ারে ৪৪টি খেতাব জিতেছেন সানিয়া। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল এই মেলবোর্নে। যখন ২০০৫ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমেছিলাম। বারবার এই কোর্টে খেলার সুযোগ পাওয়া, কিছু টুর্নামেন্ট জিততে পারা আমার জন্য সম্মানের। রড লেভার অ্যারেনা আমার জীবনের বিশেষ কিছু। কখনো ভাবিনি সন্তানের সামনে গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলব, এ রকম বিশেষ জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাতে পারব। মনে হয়েছে, আমি বাড়িতে আছি। এমন অনুভূতি উপহার দেয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ এককের সেমিফাইনালে গতকাল কারেন খাচানভকে ৭-৬ (৭-২), ৬-৪, ৬-৭ (৬-৮), ৬-৩ সেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠেন স্টেফানোস সিৎসিপাস। অপরদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টমি পালকে ৭-৫, ৬-১, ৬-১ সেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন নোভাক জোকোভিচ। আগামী ২৯ জানুয়ারি ফাইনালে সিৎসিপাসের মুখোমুখি হবেন জোকোভিচ।
২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথমবার অংশ নেন সিৎসিপাস। বিদায় নেন প্রথম রাউন্ড থেকেই। এরপর ২০২২ সালে অংশ নিয়ে তৃতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে। তবে ২০২১, ২০২২ সালে সেমিফাইনাল খেললেও ফাইনালে উঠতে পারেননি এই গ্রিক তারকা। তবে এবার বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামে আলোর মুখ দেখলেন সিৎসিপাস। এর আগে দুইবার গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেললেও শিরোপার দেখা পাননি তিনি। তাই এবার তার সামনে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সুযোগ। সেমিফাইনালে রাশিয়ান টেনিস তারকা খাচানভের সঙ্গে দারুণ লড়াই করেন তিনি। প্রথম দুই সেটে জিতলেও তৃতীয় সেটে হেরে যান তিনি। তবে চতুর্থ সেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে ওঠেন তিনি। প্রথম সেটের খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ¯œায়ুচাপ ধরে রেখে সহজে জিতে যান সিৎসিপাস। এরপর দ্বিতীয় সেটে সহজেই জেতেন তিনি। তবে তৃতীয় সেটে আবারো দারুণ লড়াই করেন দুজন। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন খাচানভ। তবে শেষ সেটে সিৎসিপাসের কাছে পাত্তা পাননি তিনি। আর এক ম্যাচ জিতলেই প্রথমারের মতো গ্র্যান্ড স্লাম জিতবেন সিৎসিপাস। ম্যাচ জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম, কতটা পরিশ্রম করে এ জায়গায় এসেছি সেটা। তবে যদি লেগে থাকা যায়, নিজেকে আরো বেশি উজাড় করে দেয়া যায় এবং মনোযোগ ধরে রাখা যায় তবে মূল্যটা পাওয়া যায়।’
অপরদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জোকোভিচের কাছে সরাসরি সেটে হেরে যান পল। ম্যাচের আগে চোটে আক্রান্ত ছিলেন জোকোভিচ। চোটের জন্য নিজে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছিলেন না তিনি। তবে সেমিফাইনালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লড়াই করে প্রত্যাশিত জয় তুলে নেন তিনি। প্রথম সেটে কিছুটা লড়াই হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেটে পাত্তাই পাননি পল। বাঁ পায়ের ঊরুর পেশিতে চোট নিয়েই বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম খেলতে নেমেছিলেন জোকোভিচ। প্রথম রাউন্ড থেকে ফাইনালে ওঠার আগ পর্যন্ত লড়াই করেছেন দুর্দান্ত। তবে গত বছর কোভিড টিকা না নেয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি তিনি। এই জয়ের পর এখন আরো একটি মাইলফলকের সামনে জোকোভিচ। ফাইনালে সিৎসিপাসকে হারাতে পারলে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের চূড়ায় থাকা রাফায়েল নাদালকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। জোকোভিচের গ্র্যান্ড স্লাম সংখ্যা ২১টি এবং নাদালের ২২টি। জয়ের পর তিনি বলেন, ‘ক্যাারিয়ারের এই পর্যায়ে এটি আমার কাছে সবকিছু। সমর্থকদের কাছ থেকে এই উৎসাহটা আমার প্রয়োজন ছিল। এটা আমার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা টেনিস কোর্ট। এটা দারুণ ম্যাচ ছিল। শতভাগ নিখুঁত একটি ম্যাচ।’
এর আগে ২০২১ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন জোকোভিচ ও সিৎসিপাস। তবে সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছিল গ্রিক তারকাকে। এবারের ফাইনালটি তাই সিৎসিপাসের জন্য প্রতিশোধেরও। এ পর্যন্ত মোট ১২ বার মুখোমুখি হয়েছেন এই দুই তারকা। যেখানে জোকোভিচের ১০টি জয়ের পাশাপাশি ২টিতে জয় পেয়েছেন সিৎসিপাস।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে ব্রাজিলের লুইসা স্তেফানি-রাফায়েল মাতোস জুটির কাছে সরাসরি সেটে হেরে গেছেন সানিয়া মির্জা-রোহান বোপান্না জুটি। মেলবোর্ন পার্কেই শুরু হয়েছিল সানিয়ার পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ার। আর গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারে তিনি নিজের শেষ ম্যাচটাও খেললেন মেলবোর্নেই। আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন অবসরের। শেষ গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল জিততে পারলে বিদায়টা হয়তো আরেকটু অন্যরকম হতো। প্রথম সেটে দুই জুটি লড়াই করলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে সেখানে জিততে পারেনি সানিয়া-বোপান্না জুটি। আর দ্বিতীয় সেটে তেমন কোনো লড়াই করতে পারেননি তারা।
সানিয়াকে রাজসিকভাবেই বিদায় দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ। পেশাদারি ক্যারিয়ারে ৪৪টি খেতাব জিতেছেন সানিয়া। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল এই মেলবোর্নে। যখন ২০০৫ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমেছিলাম। বারবার এই কোর্টে খেলার সুযোগ পাওয়া, কিছু টুর্নামেন্ট জিততে পারা আমার জন্য সম্মানের। রড লেভার অ্যারেনা আমার জীবনের বিশেষ কিছু। কখনো ভাবিনি সন্তানের সামনে গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলব, এ রকম বিশেষ জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাতে পারব। মনে হয়েছে, আমি বাড়িতে আছি। এমন অনুভূতি উপহার দেয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়