শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশিষ্টজনদের আশাবাদ : ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের উদ্যোগে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামের রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়। ছিল গান, নৃত্যসহ নানা আয়োজন। দুই দেশের বিশিষ্টজনরা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর রেডিসন ব্লæ বে ভিউ হোটেলের মোহনা হলে ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। দুই দেশ ভাইয়ের মতো সম্পর্ক রক্ষা করে। আমাদের বন্ধুত্ব সেই ১৯৭১ সাল থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের সেনারাও প্রাণ দিয়েছেন। দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতিগতভাবে অনেক মিল আছে। শুধু ব্যবসা, সংস্কৃতি, শিক্ষা বা চিকিৎসা খাতে নয়, দুই দেশের সম্পর্ক মানুষে মানুষে, আত্মায় আত্মায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালো সম্পর্ক আছে। আমি বিশ্বাস করি, এই সম্পর্ক অটুট থাকবে, আজীবন থাকবে। এই সম্পর্ক আরো গভীর থেকে গভীরতর হবে। তিনি বলেন, ভারতের অর্থনীতি পৃথিবীতে অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশও এগিয়ে চলছে। অর্থনীতি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমরা প্রতিবেশী ভারতের জন্য বিভিন্ন সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরিতে হাত বাড়াতে পেরেছি। তেমনি ভারতও হাত বাড়িয়েছে, এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক। আমাদের সম্পর্কটা দ্বিপক্ষীয়। এ সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় দেশই আন্তরিক।
স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, আজ ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথমে। প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে। বাংলাদেশ ভারতের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং ভারতের সেনাবাহিনী একসঙ্গে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধন তৈরি করে গেছেন। আজকে আমাদের বন্ধন শুধুমাত্র ট্রেড, কমার্স, সিকিউরিটি এবং বর্ডার ম্যানেজমেন্টের মতো ট্র্যাডিশনাল ক্ষেত্রসমূহে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের বন্ধন এখন কৌশলগত সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। ভারত-বাংলাদেশের কমিটেড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, শিরিন আখতার, আশিকুল্লাহ রফিক, খদিজাতুল আনোয়ার সনি, বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক আয়োজনে নৃত্য পরিবেশন করেন ওড়িশী এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার ও কালারসোফি ডান্স সেন্টার এবং সঞ্চারি নৃত্যকলা একাডেমির শিল্পীরা। সংগীত পরিবেশন করেন অপু দে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়