শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

বিপিএলে ঘরের মাঠে স্তব্ধ সিলেট স্ট্রাইকার্স সমর্থকরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সিলেট পর্ব শুরু হওয়ার আগে বিপিএলের নবম আসরের প্রতিটি দলের জন্য আতঙ্ক ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। সাত ম্যাচের একটিমাত্র ম্যাচে পরাজিত হয়ে দখল করে রেখেছিল টেবিলের শীর্ষস্থান। সিলেটের মাটিতে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে গতকাল নিজেদের মাঠে রংপুরের বিপক্ষে নেমেছিল মাশরাফি-মুশফিকরা। কচ্ছপগতির রানের বিপরীতে বিদ্যুৎগতির উইকেট পতনে বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান করার রেকর্ড গড়ার পথে ছিল তারা। তবে তানজিম আহমেদ সাকিব ও অধিনায়ক মাশরাফি ব্যাট হাতে তাদের এ লজ্জাজনক ইতিহাসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে ছিল ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান। তাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে রংপুর রাইডার্স নিজেদের চতুর্থ বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
নিজেদের মাঠে প্রথম ম্যাচে প্রথমবার ব্যাটিং করতে নামে সিলেট। স্টেডিয়ামের চারদিকে ছিল শুধু সিলেটের জার্সিপরা দর্শক। উদ্বোধনী জুটি হিসেবে মাঠে নামেন নাজমুল হাসান শান্ত এবং টম মুরস। প্রথম ওভার ঠিকঠাক খেললেও বিদায়ের মিছিল শুরু হয় দ্বিতীয় ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই বল করতে এলে। তার বলে প্রথম সাজঘরে ফিরে যান ইংলিশ ব্যাটসম্যান মুরস। এক উইকেট হারিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বড় শট খেলার চেষ্টা করেন শান্ত। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসানের বলে পেয়েও যান একটি ছক্কা। পরের বলে আবারো বড় শট খেলতে গেলে বল ফেলেন শোয়েব মালিকের হাতে। মাত্র তিন ওভারেই উদ্বোধনী জুটির দুই ব্যাটসম্যান মাঠ থেকে বিদায় নেন। পরের ওভারে আবার বল হাতে এগিয়ে আসেন ওমরজাই। তার এ ওভারে আরো দুটি উইকেট হারায় সিলেট। ফুলটসে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন তৌহিদ হৃদয়। মুশফিকুর রহিম হন বোল্ড। প্রতি ওভারেই কোনো না কোনো উইকেট হারাতে থাকে মাশরাফির দল। পরের ওভারে আবার মেহেদী হাসানের বলে জাকিরকে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে স্ট্যাম্পিং করেন রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। টানা তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরমুখী হয়েছেন শূন্যহাতে।
জাকির ও মুশফিক টানা দুই ম্যাচে কোনো রান করতে পারেননি। এর মধ্যে মুশফিক টানা দুই ম্যাচেই প্রথম বলে আউট হয়েছেন। জাকিরের উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে মাত্র ১২ রান নিয়ে সিলেট ৫টি উইকেট হারায়। সব আসর মিলিয়ে এত কম রানে কোনো দল এবারই প্রথম ৫ উইকেট হারিয়েছে। একটু পর বিদায় নিয়েছেন দুই অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা। তখন ১৮ রান সংগ্রহে সিলেট উইকেট হারিয়েছে ৭টি। তবে তানজিম ও মাশরাফি ব্যাট হাতে উদ্ধার করেছেন দলকে। আগের ম্যাচে বিপিএল অভিষেক হয় তানজিম আহমেদ সাকিবের। ম্যাচটিতে তিনি ৩টি উইকেট তুলেছিলেন। গতকাল তিনি নিজের ব্যাটিং দক্ষতা দেখালেন। হারিস রউফের বলে তিনি দুটি চার মারার পর রউফের বাউন্সার তার হেলমেটে লাগলেও ভড়কে যাননি। পরের বলেও শর্ট বল পেয়ে ব্যাট চালিয়ে দেন এবং আবার দেখা পান চার রানের। পরে দারুণ একটি ছক্কা মারেন রবিউল হককে। অন্য পাশে মাশরাফি সাবধানতার সঙ্গে শুরু করে নিজের অবস্থান মজবুত করেন। তারপর তিনি মোহাম্মদ নওয়াজের বলে টানা দুটি ছক্কা মারেন। তানজিম ও অধিনায়কের চার-ছক্কায় এগিয়ে যেতে থাকে তাদের দল। তবে ২১ বলে ২১ রান সংগ্রহ করে বিদায় নেন মাশরাফি। তার বিদায়ে তাদের ৪৮ রানের জুটি ভাঙে। তানজিমও ৩৬ বলে ৪১ রান নিয়ে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন। আগের ১৫ ম্যাচ মিলে তার মোট রান ছিল ২৩। ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ঠেকে ৯২ রানে।
৯৩ রানের তাড়া নিয়ে মাঠে নামে রংপুর রাইডার্স। ৬ষ্ঠ ওভারে নাইম শেখ সাজঘরে ফেরেন। তার সংগ্রহ ছিল ২১ বলে ১৮ রান। অষ্টম ওভারে বল করতে আসেন মাশরাফি। ওভারের শেষ দুই বলে শেখ মেহেদি (৮) ও শোয়েব মালিকের (০) উইকেট তোলেন তিনি। চার রান নিয়ে বিদায় হন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এরপর আর উইকেট হারায়নি নুরুলরা। ওপেনার রনি তালুকদার সাবধানতার সঙ্গে রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ৩৮ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। তার এ ইনিংসে তিনি দুটি ছয় ও দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ। তিনি ১৩ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কা মেরে ১৮ রান সংগ্রহ করেছেন। ৬ উইকেটে শীর্ষে থাকা সিলেটকে হারিয়ে মোট ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা টেবিলের সেরা চারে অবস্থান করছে। বিপিএলের এ আসরে এটি সিলেটের দ্বিতীয় পরাজয়।
এর আগে চট্টগ্রাম পর্বে তারা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়