শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

তুচ্ছ ঘটনার জের : তাহিরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার গাঘটিয়া চকবাজারে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পক্ষদ্বয় হলো-গাঘটিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন ও পার্শ্ববর্তী টেকেরগাঁও গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ আলী। আহতরা হলেন- সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন (৬১), তার ভাই তমির উদ্দিন (৫৫), মাওলানা শামীম উদ্দিন (৪৫), ছমির উদ্দিনের ছেলে নুরহান উদ্দিন (২৭), আশফার উদ্দিনের ছেলে মাওলানা কুতুব উদ্দিন (৩২), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবিব (২৬), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সুহেল মিয়া (৩২), আসাদ হাবিব (২১), পিয়ার হোসেনের ছেলে আলিম উদ্দিন (৪৮), আনোয়ার আলীর ছেলে তৌফিক নুর (৩৫), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তানহার উদ্দিন (২৮), নুরুজ আলীর ভাই নুরহাম (৫৫), ছেলে কাহার মিয়া (৩৫), বাহার মিয়া (২৩), মাহবুর মিয়া (১৯), জাসমিন (৪৫), ওয়াসিম (২৫), নুরহাম আলী (৫৫), মামুন মিয়ার ছেলে তুষার মিয়াসহ (১৭) ৩০ জন।
আহতদের প্রথমে স্থানীয় বাদাঘাট বাজারে চিকিৎসকের কাছে পরে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে গুরুতর আহত আমিন উদ্দিন, নুরহান উদ্দিন, কুতুব উদ্দিন ও আহসান হাবিবকে সুনামগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাহার মিয়া, বাহার মিয়া, মাহবুর মিয়া, জসমিন, ওয়াসিম, নুরহামকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের ভাগনে ইজিবাইক চালক আহসান ইজিবাইকে করে মামলামাল নিয়ে গাঘটিয়া চকবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নুরুজ আলীর ছেলে কাহার মিয়ার শরীরে ইজিবাইকে থাকা মাল হালকাভাবে লেগে যায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে কাহার আহসানকে টেনে হিচড়ে বাইক থেকে নামিয়ে মারধর করতে শুরু করে। ইজিবাইকটি কাহারদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নুরুজ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাজারে এসে আহসানকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। এখবর জানাজানি হলে মনির উদ্দিনের স্বজনরা আহসানকে উদ্ধার করতে এলে নুরুজ আলীর লোকজন মনির উদ্দিনের লোকজনের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এরপর উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আধাঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় তার আত্মীয়স্বজনদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। গাঘটিয়া চকবাজার ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের একাধিক লোকজন জানান, নুরুজ আলী গংরা এলাকায় খুবই দাঙ্গাবাজ হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর এরা এলাকায় কোনো না কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাহিদ হোসেন রানু বলেন, নুরুজ আলী গংরা গত ৫মাস আগে নদীতে চাঁদাবাজি করায় আমি তাদের বাধা দিলে নুরুজ আলী গং আমাকে মারধর করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রানু বাদী হয়ে নুরুজ আলী গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর কিছুদিন পর আবারো তারা একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের লোকজনকে মারধর করে। এর কিছুদিন পর নুরুজ আলীর ছেলে বাহার গ্রামের এক মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশে নিষ্পত্তি করা হয়। শুধু তাই নয় ইতোপূর্বে নুরুজ আলী গংদের বিরুদ্ধে নদীর তীর কেটে বালু বিক্রি করার অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছিল।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, ফের যাতে কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে সেজন্য ওই এলাকায় পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়