শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : দম ফুরানোয় নীরব পদযাত্রা বিএনপির

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অযৌক্তিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলনরত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, গাড়ি পুরনো হয়ে গেলে কয়েক দিন পরপর স্টার্ট দিতে হয়। বিএনপির অবস্থা এখন পুরনো গাড়ির মতোই হয়ে গেছে। তারা বিরতি দিয়ে দিয়ে প্রোগ্রাম করে। আর দম না থাকায় এখন তারা নীরব পদযাত্রার কর্মসূচি দিয়েছে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। জনসভা উপলক্ষে রাজশাহী পৌঁছার পর গতকাল শুক্রবার বিকালে তিনি মাদ্রাসা ময়দানে যান। সেখানে মঞ্চ ও জনসভার স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পুরো রাজশাহীই বদলে গেছে। রাজশাহীতে ঘুরে বেড়ালে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অথচ এ রাজশাহী একসময় ছিল উন্নয়নবঞ্চিত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে রাজশাহীর অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য রাজশাহীর মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনতে চান।
তিনি বলেন, যদিও প্রধানমন্ত্রী এখন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট চাইছেন। এখানেও চাইবেন। তবে আমরা যে কেবল এখনই ভোট চাইছি তা নয়। আমরা সব সময় জনগণের সঙ্গেই ছিলাম। গত ১৪ বছর মানুষের সঙ্গে থেকেছি। মানুষের খোঁজখবর রেখেছি। মানুষের সুখে-দুঃখে অভাব-অভিযোগে শুধু আওয়ামী লীগকেই পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, যখনই দেশে কোনো ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় হয় তখন কেবল আওয়ামী লীগকেই খুঁজে পাওয়া যায়। অন্য কোনো দলকে তখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই আওয়ামী লীগই ভোটের হকদার। এখন বিএনপিকে শীতের পাখির মতো দেখা যাচ্ছে। পরে আর পাওয়া যাবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ জনসভায় যোগ দিয়ে রাজশাহীর ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। রাজশাহীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। কেবল মাদ্রাসা মাঠ নয়, আশপাশের এলাকাও লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। এ জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেবেন।
পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচিতেও সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখার জন্য জনগণ অপেক্ষায় আছে।
জনসভাস্থল পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়