রকি আহমেদ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অর্থ ও হিসাব দপ্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন, আয়-ব্যয়সহ বিভিন্ন বিল ভাউচারের গোপনীয় নথি সংরক্ষিত রাখার জন্য আলাদা স্টোর রুম নেই। এ কারণে প্রশাসনিক ভবনের সিঁড়ির পাশে সেগুলো অবহেলায় অযতেœ রাখা হয়েছে। ফলে ময়লা-ধুলাবালির আস্তরণ পরে তাতে বাসা বেঁধেছে পোকা। এছাড়া চলাচলের সিঁড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয় নথিপত্র রাখায় তা রয়েছে অরক্ষিতও। সরজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের সিঁড়ি ও দেয়ালের গায়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে হিসাবের নথিপত্র। কিছু বস্তাবন্দি করে, কিছু খালি অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। নথির উপর জমে আছে ময়লা। কিছু নথিতে বেঁধেছে পোকার বাসা। অপরদিকে সিঁড়িতে নথিপত্র রাখায় প্রশাসনিক ভবনের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচলও।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, নথি বেশি হয়ে গেছে বলে রুমে রাখার জায়গা নেই। আমাদের দপ্তরে কোনো স্টোর রুমও নেই। তাই সিঁড়ির উপর রাখা হয়েছে। তবে তা অপ্রয়োজনীয় নয়। অডিটের সময় এগুলো লাগবে। কোনো নথি যদি হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে অডিটের সময় আপত্তি আসবে। আমাদের পড়তে হবে ঝামেলায়।
এ বিষয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের স্টোর রুম না থাকলে তো কিছু করার নাই। তাই বাধ্য হয়ে সিঁড়ির উপর রেখেছি। তবে নথিপত্র যেন নষ্ট না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখব।’
সামগ্রিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের জায়গার কিছু সংকট রয়েছে। আমাদের রেজিস্ট্রার দপ্তরের নথিপত্র স্টোর রুমে রাখি। জায়গা সংকটের জন্য হিসাব দপ্তর মনে হয় সিঁড়ি ব্যবহার করে। তবে অযতেœ নথি নষ্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে যথাযথ সজাগ থাকতে হবে।’