শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

গায়ক কেন মঙ্গলসূত্র পরেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উপমহাদেশের অন্যতম পরিচিত রক ব্যান্ড ‘ইউফোরিয়া’। নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের কাছে ‘ইউফোরিয়া’ একটা আবেগের নাম। এই ব্যান্ডের প্রধান মুখ পলাশ সেন। দিল্লির ডাক্তার পরিবারে বেড়ে ওঠা পলাশ নিজেও পেশাগত সূত্রে একজন দন্ত চিকিৎসক। পরবর্তী সময়ে নিজের প্যাশন, গানকে বেছে নেন পলাশ। তার গাওয়া ‘মায়েরি’ গান আজো বহু সংগীতপ্রেমীর প্লে-লিস্টে একদম ওপরের সারিতে রয়েছে।
এই রকস্টার সব সময় তার গলায় মঙ্গলসূত্র পরে থাকেন, যা দেখে অনেকেই হতবাক হন। বিয়ের পর হিন্দু মহিলারা তার স্বামীর মঙ্গলকামনায় কালো পুঁতিতে গাঁথা এই হার গলায় পরেন। এটি একান্তভাবেই সধবা মহিলাদের অলঙ্কার। জানেন কি পলাশের গলার মঙ্গলসূত্রটি আসলে গায়কের মায়ের। বিগত কয়েক বছর ধরেই মায়ের মঙ্গলসূত্র নিজের গলায় ধারণ করেছেন ‘ইউফোরিয়া’র লিড ভোকালিস্ট। এক সাক্ষাৎকারে এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ এবং মায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন পলাশ।
মায়ের কঠিন লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে পলাশ জানান, ‘আমার মায়ের তখন আট বছর বয়স যখন দেশভাগ হয়। লাহোর থেকে ৪ বছর বয়সি ভাইকে নিয়ে একা হেঁটে জম্মু-কাশ্মিরে পৌঁছান আমার মা। উনি ছেলেদের স্কুলে পড়াশোনা করতেন, ওখানে সেই সময় মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল ছিল না। এরপর ১৭ বছর বয়সে এমবিবিএস পড়তে মা লক্ষেèৗ আসেন’।
তিনি আরো যোগ করেন, ‘যখন তুমি মানসিকভাবে এতটা শক্ত একজন মানুষ হও, তখন তোমার জীবন দর্শনটাও খুব কঠিন হয়। সেই জন্যই বোধহয় সব বিষয়ে মায়ের সঙ্গে আমার অমত হয়, দুজনের খুব ঝগড়াও হয়। তবে মা-ই আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আমার বাবা মারা হওয়ার পর মা মঙ্গলসূত্র পরা বন্ধ করে দেন। তারপর থেকে আমি ওই মঙ্গলসূত্রটা পরা শুরু করি। স্টেজে সবসময় ওই মঙ্গলসূত্র আমার গলায় থাকে, বলতে পারেন আমার মায়ের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে থাকে। মঙ্গলসূত্রের সঙ্গে আমি একটা খার্তুশ (মিসরীয় লকেট) ঝুলিয়েছি। ওটা মিসর থেকে আনা, আর তাতে আমার বাবা-মায়ের নাম খোদাই করা রয়েছে মিসরীয় হায়ারোগিফে (চিত্রলিপি)।’
১৯৯৮ সালে ‘ইউফোরিয়া’র জন্ম। ‘মায়েরি’, ‘ধুম পিচাক ধুম’, ‘আনা তু মেরি গলি’, ‘অব না যা’র মতো অজস্র হিট গান হিন্দি সংগীতপ্রেমীদের উপহার দিয়েছে পলাশ সেনের ব্যান্ড। এর পাশাপাশি বলিউডে অভিনয়ও করেছেন তিনি। ২০০১ সালে ‘ফিলহাল’ ছবির সঙ্গে তার অভিনয় সফর শুরু হয়েছিল। মেঘনা গুলজারের এই ছবিতে পলাশের কো-স্টার ছিলেন টাবু ও সুস্মিতা সেন। – মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়