শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

আশাশুনিতে সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, ধুলায় ভোগান্তি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এসকে হাসান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা-বাঁকা সড়ক সংস্কারে ধীরগতির কারণে এলাকা ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনেও সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
সরজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। এছাড়া সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি প্রতিদিন ধুলায় ধূসর হয়ে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচলের সময় পথচারী কিংবা অন্য ক্ষুদ্র যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও পথচারীদের চলাচল করতে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে। অন্যদিকে ধুলার কারণে এ সড়কের দুধারে বসবাসকারী গ্রামবাসীর অবস্থাও নাকাল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে বাতাসে ধুলাবালি ভাসায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে পথচারীরা শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে সাতক্ষীরা, খুলনা, পাইকগাছা, কালিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বাস, মিনিবাস, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়া সাতক্ষীরা-বাঁকা-দরগাপুর সরাসরি মিনিবাস চালু থাকলেও বর্তমানে সড়কের বেহাল দশার কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের কুল্যার মোড় থেকে গুনাকরকাটি সড়কটি প্রায় এক বছর আগেই সংস্কার করা শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন সড়কটির কাজ ফেলে রাখার ফলে এলাকা ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই কাজটি করছে সাতক্ষীরার তালার তপন চক্রবর্তীর মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজ। এছাড়া গুনাকরকাটি থেকে কাদকাটি পর্যন্ত কাজ শুরু হয় প্রায় ৫ মাস আগে। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। বাকি রয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। আর এই কাজটি করছেন ঢাকার মেসার্স ডিজাইন সলিউশন সেন্টার নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য মো. আব্দুল হাকিম বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে ধুলাবালিতে পথচারীরা শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি দ্রুত সময়ে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি জানান। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমাদের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। ধুলাবালির পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তপন চক্রবর্তীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
ঢাকা ডিজাইন সলিউশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে কাজটি শেষ করতে একটু দেরি হচ্ছে। এখন ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার এ কাজটিতে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকা লস হবে। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ১৫ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সড়কে আমি আমার অংশের কাজ সম্পন্ন করব।
আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, বুধহাটা থেকে বাঁকা সড়কের বিষয়ে একাধিকবার আমরা এ দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কুল্যার মোড় থেকে গুনাকরকাটির ঠিকাদার (রাকা এন্টারপ্রাইজ) কথা শুনতে চায় না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কের কাজ সম্পন্ন না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ানুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। এক মাসের মধ্যে এ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়