শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

আবাহনীর কাছে পাত্তা পেল না মোহামেডান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ও মোহামেডান। এর আগের ছয় ম্যাচে কোনো গোলের মুখ দেখেননি আবাহনীর পিটার নোরাহ। প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে তিনি মোহামেডানের বিপক্ষে এ আসরে নিজের প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন। মোহামেডানকে ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে আবাহনী। ম্যাচের অন্য গোলটি করেছেন দানিয়েল কলিন্দ্রেস।
আবাহনীর ফরওয়ার্ডে খেলেন নাবিব নেওয়াজ, এলিটা কিংসলে, দানিয়েল কলিনদ্রেস, পিটার নোরাহ। তাদের কেউই নিজের ফর্মে নেই। এ আসরে এখন পর্যন্ত তারা নিজেদের প্রতিভা দেখাতে পারেননি। তবে মোহামেডানের বিপক্ষে নিজের দাপট দেখিয়ে দিয়েছেন পিটার নোরাহ। ম্যাচ শুরু হওয়ার ১১ মিনিট পর দানিয়ের কলিন্দ্রেসের পাস থেকে বল পান তিনি। তারপরই দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে দারুণ একটি শট নেন। সে শটে প্রথমবারের মতো জালের দেখা পান তিনি। তার গোলে লিড নেয় আবাহনী। গোল হজমে নিষ্ক্রিয় ছিল মোহামেডান। তাদের মধ্যে শুধু সোলেমান দিয়াবাতেই চেষ্টা করেছেন গোল শোধ করার। কিন্তু চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি তিনি। যতবারই বক্সে ঢুকেছেন ততবারই ডিফেন্ডার তাকে পরাস্ত করেছে। কখনো খেই হারিয়ে পড়ে গেছেন আবার কখনো ডিফেন্ডারদের ট্যাকলের শিকার হয়ে ভালোভাবে ফিনিশিং করতে পারেননি। তাই কোনো গোল করতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে আবাহনী। বিরতির পর মাঠে নেমে তারা ব্যবধান দ্বিগুণ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। এর সুফলও পেয়ে যান তারা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে লম্বা থ্রো দেন রহমত মিয়া। তার থ্রো থেকে বল পান দানিয়েল করিন্দ্রেস। বক্সের মধ্যে তাকে কড়া পাহাড়ায় রেখেছিলেন রিকার্দো ফাবলেস আরগুয়েলেস। তার পায়ে বল আসলে তাকে রিকার্দো টেনে ধরার চেষ্টা করেন। রিকার্দোর টানে কলিন্দ্রেস পড়ে যাওয়ার আগ মুহুর্তে ডান পায়ে বলে টোকা দিলে বল জালে জড়ায়। তার এ দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় আবাহনীর। প্রিমিয়ার লিগে এটি তার চতুর্থ গোল।
মোহামেডান ম্যাচের সেরা সুযোগটা পেয়েছিল ৭২ মিনিটে। বাম প্রান্ত থেকে আবিদ হোসেনের ক্রসে মাথা ছুঁয়েছিলেন দিয়াবাতে। আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম প্রথম চেষ্টায় বলটি ধরতে পারেননি। কিন্তু পাশে দাঁড়ানো ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আবাহনীর ডিফেন্ডার আলমগীর মোল্লা দলকে বিপদমুক্ত করেন।

৭ ম্যাচে এটি আবাহনীর চতুর্থ জয়। এ জয়ে ৩ পয়েন্ট যোগ করে মোট ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই আছে আবাহনী। পরাজিত হয়ে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে আছে মোহামেডান। ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বসুন্ধরা কিংস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়