শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

অনুসন্ধানে অনীহার কারণে বর্তমান সংকট সৃষ্টি হয়েছে : অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, জ্বালানি উপদেষ্টা, ক্যাব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেছেন, বিগত অনেক বছর ধরেই গ্যাসের সমস্যা চলছে। আমরা নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ রেখে উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি করে সমস্যা বাড়ানো হয়েছে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান না করে আমদানি নির্ভরতার কারণেই আজকের গ্যাস সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন,

আমরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রী, সচিবসহ সব কর্তাব্যক্তিদের দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র খুঁজে বের করাতে জরিপ, অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। তাছাড়া এই সেক্টরে কিছু অযোগ্য ও অদক্ষ্য লোককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে ২০১০ সাল থেকে দেশের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখলে এখন অনেক গ্যাস পাওয়া যেত।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে জ¦ালানি সংকট তীব্র হওয়ার পর সরকার নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই ভোলাসহ কয়েকটি স্থানে গ্যাস পাওয়া গেছে। ভোলায় যে গ্যাস পাওয়া গেছে তা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারলে আজ দেশজুড়ে এত বেশি গ্যাস সংকট হতো না। এখনো সরকার ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনার ব্যবস্থা করতে পারেনি। উল্টো দেশে গ্যাসের স্বল্পতা জ্বালানি বিভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এলএনজি আমদানি দেখিয়ে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। অথচ এই টাকা দিয়ে গ্যাস অনুসন্ধান করলে এই সংকট হতো না। কারো কারো ব্যবসায়ীক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে উচ্চদামে এলএনজি আমদানি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থলভাগের অনেক স্থানেই সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গ্যাস অনুসন্ধানে সরকার কাজ শুরু করেনি। বঙ্গোপসাগরের বিশাল সমুদ্রসীমায় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ অনেক আগেই শুরু করা যেত, কিন্তু তা হয়নি। আমাদের প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের সমুদ্রসীমার গ্যাস অনেক আগে থেকেই উত্তোলন করছে। আমাদের সমুদ্রসীমায় কার্যত এখনো তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কোনো জোরালো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিতরণ সংস্থা তিতাসের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতি কারোই অজানা নয়। এখনো অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এসব বিষয়ে সরকার কখনোই গুরুত্ব দেয়নি, কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। তিতাসের লোকজন অপরিকল্পিতভাবে কাজ করার কারণে রাজধানীতেও গ্যাস সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। রাজধানীতে বসবাস করেও মানুষ এখন মাটির চুলায় রান্না করছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো এলপি গ্যাসের দাম নিচ্ছে ইচ্ছেমতো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়