প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

সাংবাদিক আফতাব হত্যাকাণ্ড : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজু সীমান্তে পালিয়ে ছিলেন ৯ বছর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয় ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর। ওই ঘটনার পর ৫ জনকে গ্রেপ্তারও করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার এক বছর পর জামিন নিয়ে গাঢাকা দেয় দুজন। তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও থেকে যান অধরা। ওই দুজনের একজন রাজু মুন্সি। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ৯ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায়। যোগাযোগ করেননি পরিবারের সঙ্গেও। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দিনাজপুর ফুলবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
সংস্থাটি বলছে, এ ঘটনার অন্যতম খুনি ভুক্তভোগীর গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে রাজুর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এটিইউর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স) এম এম হাসানুল জাহিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আফতাব আহমেদ পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে রাজুসহ বেশ কয়েকজন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ওই বাসায় ঢুকেন। সেখানে তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার চেষ্টা করে। এ সময় ঘাতকদের বাধা দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন আফতাব আহমেদ। এরই এক পর্যায়ে ঘাতকরা তাকে শ্বাসরোধের পর হত্যা করে। ঘটনার পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর ২৬ ডিসেম্বর রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে সে বছরই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের এক বছরের মাথায় রাজু মুন্সিসহ দুই আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপন চলে যান। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিলাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অন্য আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়