প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

মেলান্দহে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন : দুর্নীতির অভিযোগ সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি : মেলান্দহ উপজেলার চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের ভূমি কার্যালয়ের পাশে মহিরাকুল মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী ও চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলী, আলমগীর হোসেন, মুক্তা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা ছাড়া কোনো জমির খারিজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম। কাগজপত্রে একটু ত্রæটি থাকলে তিনি ১ থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করেন। টাকা না দিলে এই কর্মকর্তা কোনো কাজ করেন না এবং কাগজপত্র আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। জমি খারিজ করতে গেলে দরজা বন্ধ করে ঘুষ নেন। ২০০ টাকার খাজনার জন্য তিনি পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছানাউলকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে ছানাউল ইসলামের ঘুষ? বাণিজ্যের অভিযোগ করে আলমগীর হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম? এমন কোনো লোক নেই যার কাছ থেকে তিনি ঘুষ নেননি। আমি ৩ শতাংশ জমি খারিজ করতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছেন। ৩ শতাংশ জমির মূল্য কত? আর তিনি আমার কাছে ঘুষ চান ৫০ হাজার টাকা।
আরেক ভুক্তভোগী মুক্তা বেগম বলেন, ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। টাকা নেয়ার পর আমার সঙ্গে আর কথা বলেন না। আমি কথা বলতে গেলে খারাপ ব্যবহার করেন। পরে ইউএনওর কাছ থেকে খারিজার কাগজ নিয়েছি।
আসমত আলী নামে একজন বলেন, আমি ৫-৬ দিন ধরে ঘুরছি। তার কাছেই যাওয়া যায়না। কষ্ট করে এর আগে একটা দাখিলি করেছি, যাতে ১৪৪ টাকার জায়গায় আমার কাছ থেকে নিয়েছেন ১৩০০ টাকা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়