প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

মানবপাচারে শীর্ষে খুলনা ঢাকা সিলেট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভিটেমাটি ছাড়া হচ্ছে অনেক অঞ্চলের মানুষ। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে পাচারকারী চক্র। বাংলাদেশে খুলনা এলাকা থেকে মানব পাচার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এরপরই রয়েছে ঢাকা ও সিলেটের অবস্থান।
মানব পাচার সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিবেদন-২০২২ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আলোচকদের বক্তব্য থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের ১২ তলার বলরুমে প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) চিফ অব মিশন আবদুসসাত্তার এসভ, ইউএনওডিসি এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক প্রতিনিধি মার্কো তাজেরিয়া, ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের হেড অব কোঅপারেশন মুরজিও সিয়ান, কানাডার হাইকমিশন কাউন্সিলর (রাজনৈতিক ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) ব্র্যাডলি কোটস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) তৌফিক ইসলাম শাতিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আলম শেখ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন দুই প্রতিনিধি জানান, মানব পাচার একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটিকে বৈশ্বিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকার মানব পাচার রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
দ্য গেøাবাল অ্যাকশন এগেইনস্ট ট্রাফিকিং ইন পার্সন এন্ড দ্য স্মাগলিং মাইগ্রেন্টস বাংলাদেশ (গেøা.অ্যাক্ট বাংলাদেশ) প্রকল্পের অধীনে মানব পাচার সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিবেদন-

২০২২ তৈরি করা হয়। এটি বাস্তবায়ন করেছে ইউএনওডিসি ও আইওএম। প্রতিবেদনটি গতকাল বাংলাদেশে প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের পদ্ধতি, মূল ফলাফল ও নীতিগত সুপারিশ তুলে ধরেন গেøা.এ্যাক্টের গেøাবাল কোঅর্ডিনেটর এইমি কম্রি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান ও ইউএনওডিসির জাতীয় প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মাহদি হাসান। প্রতিবেদনটিতে ১৪১টি দেশের মানব পাচারবিষয়ক তথ্য তুলে ধরা হয়। গত ২০১৭-২১ সালের মধ্যে শনাক্ত করা পাচার মামলার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী, আঞ্চলিক ও জাতীয় স্তরে মানব পাচারের নিদর্শন এবং প্রবাহের একটি চিত্র তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনটিতে। প্রতিবেদনে মানব পাচার বিষয়ক ৮০০ মামলার সারাংশ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা মহামারির কারণে মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করা ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষমতা কমেছে আরো। তবে এ সময় সেক্সুয়াল ট্রাফিকিং কম ঘটেছে। অনেক জায়গাই বন্ধ থাকা এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় দায়মুক্তির উচ্চমাত্রা দেখা গেছে। এই অঞ্চলের দেশগুলোতে পাচারকারীদের দোষী সাব্যস্ত করার সংখ্যা বাকি বিশ্বের তুলনায় কম দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়