প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

তারেকের এপিএস অপুর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এপিএস নুর উদ্দিন অপুর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২৪ জানুয়ারি সিআইডির পরিদর্শক ছাদেক আলী রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি (নম্বর-২৪) দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে, ৫৬৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অপুকে ৮ কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে এই মামলার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মতিঝিল থানায় কোনো তথ্য না পেয়ে (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলামের কাছে গিয়ে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণের স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুব মমতাজী। পরে ডিসির অসহযোগিতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এছাড়া হায়াতুল ইসলামের বিষয়ে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর মতিঝিল সিটি সেন্টারের ২৭ তলার ইউনাইটেড করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মানিলন্ডারিং মামলাও করে সংস্থাটি। ওই মামলার চার নম্বর আসামি তারেকের এপিএস নুর উদ্দিন অপু। এরপর ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে অপু গ্রেপ্তার হন। পরে মামলাটি তদন্তভার সিআইডিতে চলে যায়।
টাকা উদ্ধারের সময় জব্দ হওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের সূত্র ধরে প্রায় ৪ বছরের অনুসন্ধানে ৫৬৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা। ২৭৬টি জমা স্লিপে ওইসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি ১২ লাখ ৪১ হাজার ৪২৯ টাকা জমা হয়েছে। এসব ঘটনায় সিআইডির ২৪ জানুয়ারির মামলায় দুই ব্যক্তি, এক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখিত আসামিরা হলেন- ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মাহমুদুল হাসান, একই এলাকার এ এম আলী হায়দার ওরফে নাফিজ এবং ইউনাইটেড করপোরেশন।
পরে আদালত থেকে পাওয়া মামলার এজহার থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মতিঝিল থানার মামলাটি তদন্তকালে বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে আসামিদের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে ৫৬৯টি ব্যাংক হিসাবে হুন্ডির টাকা লেনদেন এবং অর্থ পাচারের তথ্য পাওয়া যায়। ব্যাংক হিসাব, অভিযুক্তদের ফোন ও কম্পিউটার ফরেনসিক রিপোর্ট এবং ব্যাংকের হিসাবের জমা স্লিপ পর্যালোচনা করে ওইসব তথ্য পাওয়া যায়। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওইসব টাকা লেনদেন হয়। আসামিদের গড়া চক্রই সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। মাহমুদুল হাসানের ভাগিনা নাফিজ হুন্ডিতে ওইসব টাকা লেনদেনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন। আর মাহমুদুল হাসান প্রায়ই সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই, সৌদি আরবে ভ্রমণ করতেন। কোন ব্যাংকে কত টাকা জমা দিতে হবে তা মাহমুদুল হাসান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দিতেন। সেই মেসেজ অনুযায়ী নাফিজ ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে দিতেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়